বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণায় কান না দিয়ে, সার্বিক সহযোগিতা চান- মেয়র আজম নাছির
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পৌরকর বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রচারে কান না দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। শনিবার (১৫ এপ্রিল) সাড়ে ১১ টায় আন্দরকিল্লা ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক চত্বরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত জঙ্গী, সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী এবং পৌরকর বিষয়ে সচেতনতা মূলক সমাবেশে মেয়র এ প্রত্যাশা করেন। নিঃস্ব ও গরীব এবং সীমিত আয়ের জনগোষ্ঠীকে পৌরকরের আওতামুক্ত রাখার ঘোষণ দিয়ে মেয়র বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে বকেয়া পৌরকর পরিশোধ করলে ১০% রেয়াত দেয়ার ঘোষণা দেন। সক্ষম ও বিত্তবান জনগন নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করলেই শতভাগ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব। মেয়র মাদকমুক্ত চট্টগ্রামের লক্ষে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মাদক বিক্রেতাদের উচ্ছেদ করার ঘোষনা দেন। তিনি মাদক এর কুফল ব্যাখ্যা করে মাদকসেবন থেকে মাদকসেবী সকলকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহবান জানান। আ জ ম নাছির উদ্দীন জঙ্গীবাদ প্রসঙ্গে বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদকে রুখতে হবে। পবিত্র ইসলামে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই। পবিত্র ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম। আত্মহনন পবিত্র ইসলামে মহাপাপ। যারা জঙ্গীদের মদদ, আশ্রয়, প্রশ্রয় ও লালন-পালন করে তারা পবিত্র ইসলাম ও মানবতার দুশমন। জঙ্গী কার্যক্রমে জড়িতদের সত্য ও সঠিক পথে ফিরে আসার আহবান জানান মেয়র। পৌরকর প্রসঙ্গে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, পৌরকর সেবার একমাত্র উৎস। সরকারের নির্ধারিত পৌরকর আদায় করে সিটি কর্পোরেশন। কোন নাগরিকের উপর স্ব প্রণোদিত হয়ে চসিক এক টাকাও কর ধার্য করার ক্ষমতা রাখে না। পৌরকরের বর্তমান হার ১৯৮৫ সন থেকেই বলবৎ আছে। ২০১৬ সনের ৩১ ডিসেম্বর জারিকৃত গেজেট বিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়ন হয় নাই। আইনের বাধ্য বাধকতায় প্রতি ৫ বৎসর অন্তর অন্তর পৌরকর পুন:মূল্যায়নের বিধান রয়েছে। বকেয়া পৌরকর প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আগামী একমাসের মধ্যে বকেয়া পৌরকর পরিশোধ করা হলে ১০ ভাগ রেয়াত দেয়া হবে। এ বিষয়ে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে বিজ্ঞাপন জারির নির্দেশ দেন। জনাব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, জনগনের ভোটে নির্বাচিত মেয়র হিসেবে নাগরিকদের সেবা শতভাগ দিতে তিনি সদা প্রস্তুত। কারোর বিভ্রান্তিকর বক্তব্য বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রচারে কান না দিয়ে মেয়রের কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন মেয়র। আন্দরকিল্লা চত্বরের র্যালী উত্তর সমাবেশে প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিসেস আঞ্জুমান আরা বেগম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মো. আবুল হোসেন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মিসেস নাজিয়া শিরিন, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, সিটি ম্যাজিস্ট্রেট সনজিদা শরমিন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিমসহ চসিকের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.