নিজস্ব প্রতিবেদক:
কঠোর লকডাউনের পঞ্চমদিনে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করায় ১৯৩ জনকে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮৮০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় মামলা করা হয়েছে ১৯৩টি। মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) জেলার ৮ উপজেলায় পৃথক ২৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এ জরিমানা করা হয়। সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার কাজী মাহমুদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, লকডাউনে সরকার নির্দেশিত বিধিনিষেধ মানাতে জেলাজুড়ে দিনভর চেকপোস্ট, ভ্রাম্যমাণ আদালত ও টহল পরিচালনা করা হয়। এসময় বিনা কারণে ঘর থেকে বের হওয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলাজুড়ে কঠোর অবস্থানে ছিল জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট, সেনাবাহিনী, নৌ—বাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ। সড়কে বিজিবি, সেনা সদস্যদের ও পুলিশী তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। শহরের বাজারঘাটা, পান বাজার সড়ক, বড় বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাধারণ মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
এসময় রাস্তায় সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল কম। রিকসা ও মোটরসাইকেল, পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলাচল করেনি। জরুরী পণ্যবাহী গাড়ি চলেছে প্রমাণপত্র দেখিয়ে। জরুরি সেবার সাথে জড়িতরা সুনির্দিষ্ট পরিচয়পত্র দেখিয়ে পার পেয়েছে। যারা প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি তাদের উল্টো ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বিনা প্রয়োজনে যারা রাস্তায় বের হয়েছে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। জরিমানা গুণতে হয়েছে অনেককে। জরুরী কাজে বের হয়েও যারা মাস্ক পরেনি তাদের কঠোরভাবে সতর্ক করেছে প্রশাসন। শহরের ভেতরের সব দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে। বিধিনিষেধ মেনে উন্মুক্ত রাখা হয় খাবার প্রতিষ্ঠানসমূহ। তবে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলেই পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, আমরা চেষ্টা করছি জনসাধারণকে সচেতন করতে। ধয্যর্ ধরে আর কিছুদিন ঘরে থাকুন। এতে সবার জন্য নিরাপদ সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় লকডাউন বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.