ডেস্ক নিউজ:
করোনা মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কা রুখতে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি। এর অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্টদের বিদেশফেরত বা আগতদের সবার করোনা টেস্ট এবং কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে বলেন তিনি।
রবিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন। তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হওয়া করোনা মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কার কথা তুলে ধরেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘যখনই করোনা দেখা দিয়েছিল, আমাদের দেশেও যখন এটা আসতে শুরু করেছিল সঙ্গে সঙ্গে আমরা ২১ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলাম। আবারও এখন সময় এসে গেছে, এখন থেকে বাইরে থেকে যারা আমাদের দেশে আসবে তাদের পরীক্ষা করা, তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা, এটা আমাদের এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা পোর্টে পোর্টে সেই আগের মতো ব্যবস্থা নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ ঢুকতে গেলেই করোনা নিয়ে ঢুকছে কিনা, এটা পরীক্ষা করতে হবে, কারণ আমার দেশের মানুষের সুরক্ষাটা নিশ্চিত করতে হবে। আমি আশা করি সেটা আপনারা করবেন। আবার বিশ্বব্যাপী করোনা প্রার্দুভাব ব্যাপকভাবে দেখা দিচ্ছে। এখন ইউরোপের অনেক দেশ, ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছে। তাই আমোদের সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে হবে।
করোনা মহামারির কারণে সারাবিশ্ব স্থবির হয়ে পড়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছুতে একটা স্থবিরতা এসে গেছে। করোনা সবকিছুতেই একটা স্থবির করে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, নিজেদের সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখতে হবে।’
করোনা সংক্রমণ হতে বাঁচতে সবাইকে মাস্ক পরার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই মাস্ক ব্যবহার করবেন। যখন মানুষের কাছাকাছি যাবেন মাস্কটা ব্যবহার করবেন, সারাক্ষণ পরে থাকতে হবে তা নয়। যখনই জনসমাগম স্থলে যাবেন মাস্ক পরে নিজেকে সুরক্ষিত করবেন, অপরকে সুরক্ষিত করবেন। সবাই নিয়ম মেনে চলবেন যাতে করে এই করোনা থেকে যেভাবে আমরা মানুষকে রক্ষা করছি সেভাবে রক্ষা করতে পারি। এটা প্রত্যেকের একটা দায়িত্বও থাকবে।’
শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পড়াশোনা ও শরীর চর্চার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। শুধু আমাদের এখানে না বিশ্বব্যাপীই এ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। তারপরও আমরা সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাসগুলো চালাচ্ছি, চেষ্টা করে যাচ্ছি, সবাই যার যার পড়াশোনা নিজেরাও একটু করতে হবে, বাবা-মাও সেটা যেন একটু দেখে। খেলাধুলার প্র্যাকটিসটাও যেন থাকে, সেই সুযোগটা আমরা সৃষ্টি করে দিচ্ছি।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.