বিএনপিকে দুর্বল দল মনে করে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে ভুল করবেনঃ সেতুমন্ত্রী

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে সিটি নির্বাচনে পরাজিত হয়েও তারা কম ভোট পায়নি। সুতরাং সার্বিক দিক লক্ষ্য রেখে পথ চলতে হবে।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার অর্জনকে খারাপ আচরণ দিয়ে ম্লান করবেন না। মানুষের চোখের ভাষা বুঝুন। ক্ষমতায় থাকেন বলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। এখন হয়তো তারা আপনাদের কিছু বলবে না। কিন্তু যখন নির্বাচনের ব্যালট পেপারের মাধ্যমে জবাব দিয়ে দেবে। আপনাদের খারাপ আচরণের কারণে আমাদের ভালো প্রতিনিধিকেও শাস্তি দেবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় পরিবার সেখানে ছোটখাটো কলহ থাকতে পারে। আমার এখন লক্ষ্য হচ্ছে কর্মীদের সুবিন্যস্ত এবং সুশৃঙ্খলিত করে দলকে গোছানো। আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে আগামী দিনের উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাওয়া। আমাদের উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায় সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদকে প্রতিহত করার উপযোগী শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগকে গড়ে তোলা। আরেকটা কাজ হলো আগামী নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগকে সর্বাত্মকভাবে গড়ে তোলা। এজন্য আমি কর্মীদের কাছে যেতে চাই। কর্মীদের প্রস্তুত করতে চায়।

তিনি বলেন, যেসব কর্মী জনগণের কাছে যাবে তাদেরও জনগণের কাছে যাওয়ার মতো নিজেদের যোগ্য এবং উপযুক্তভাবে গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটি এলোমেলো দল নিয়ে আগামী নির্বাচনে যেতে চাই না। সুসংগঠিত একটি দল নিয়ে রাজনৈতিকভাবে সব আন্দোলন মোকাবেলা করে আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসবো।

আওয়ামী লীগের অভাবনীয় উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আর উন্নয়নের দরকার নেই, যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা সফলভাবে শেষ হলেই বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে যাবে। তাই এ উন্নয়নের পথে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আরেকটি ভোট বিপ্লব ঘটাবো আগামী নির্বাচনে।

দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে কাদের বলেন, আমরা যদি জনগণকে বলি বিলবোর্ড খুলে ফেলেন, তারা খুলে নেন। কিন্তু আমাদের কর্মীরা খোলেন না। এ মানসিকতা পরিহার করতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, নগর নেতা শেখ বজলুর রহমান, এসএম মান্নান কচি, আজিজুল হক রানা প্রমুখ।