বাস পোড়ানোর মামলা থেকে বিএনপির ১২০ নেতা-কর্মীর জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীতে বাস পোড়ানোর ঘটনায় করা পৃথক পৃথক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ১২০ নেতা-কর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত। আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এই নেতাকর্মীদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার মো. মীর হেলাল।

গত বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোট ১১টি বাস পোড়ানো হয়। এর মধ্যে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে পল্টন বিএনপি পার্টি অফিসের উত্তর পাশে কর অঞ্চল ১৫ পার্কিং করা সরকারি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর ১টার দিকে মতিঝিল মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাসে, ১টা ২৫ মিনিটে রমনা হোটেলের সামনে চলতি ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের চলতি বাসে, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে দুপুর দেড়টার দিকে দেওয়ান পরিবহনে, ২টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ সচিবালয়ের উত্তর পাশে রজনীগন্ধা পরিবহন এবং বংশাল নয়াবাজার এলাকায় ২টা ২৫ মিনিটে দিশারী পরিবহনে আগুন দেওয়া হয়।

এছাড়া ২টা ৪৫ মিনিটে পল্টন পার্কলিং-এ জৈনপুরী পরিবহন, বিকেল ৩টায় মতিঝিল থানাধীন পূবালী পেট্রোল পাম্পের কাছে দোতলা বিআরটিসি বাসে এবং ভাটারা কোকোলা মোড়ে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এসব ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দায়ী করে রাজধানীর ১২ থানায় ১৬টি মামলা হয়। এসব মামলায় জড়িত সন্দেহে ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। মতিঝিল থানায় করা পুলিশের বাদী হওয়া গাড়ি পোড়ানোর মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে। মামলাগুলোর মধ্য খিলক্ষেত থানা ছাড়া বাকি ১৫টি মামলার বাদীই পুলিশ।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.