ডেস্ক নিউজ:
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ১৭ মে সোমবার গত বছরের আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করলেন ট্যাক্স রিটার্নের পরই। এটি বহু বছরের ট্র্যাডিশন হওয়া সত্বেও গত চার বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটি করেননি চাপ দেয়া সত্ত্বেও।
নিউইয়র্ক টাইমসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, ট্যাক্স ফাঁকিতে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এজন্যে কখনোই তিনি তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে চান না। অথচ বাইডেন-কমলা জুটিতে এজন্যে ন্যূনতম অনুরোধ/আহবান জানানো হয়নি। ১৭ মে ছিল গত বছরের ট্যাক্স রিটার্নের শেষ দিন। বাইডেন ও ফার্স্টলেডি ড. জিল বাইডেন দম্পতির গত বছরের নেট আয় ছিল ৬০৭৩৩৬ ডলার। এজন্যে তারা ফেডারেল ট্যাক্স দিয়েছেন মোট আয়ের ২৫.৯% হিসেবে ১৫৭০০০ ডলার। কমলা হ্যারিস ও তার স্বামী অর্থাৎ সেকেন্ড জেন্টেলম্যান ডোগ এ্যামহোফ ফেডারেল ট্যাক্স দিয়েছেন তাদের মোট আয়ের ৩৬.৭% হারে ৬২১৮৯৩ডলার। অর্থাৎ এই দম্পতির মোট আয় ছিল ১.৭ মিলিয়ন ডলার। আগের বছরের চেয়ে গত বছর বাইডেন দম্পতির আয় কমেছে। ২০১৯ সালে বাইডেন দম্পতির আয় ছিল ৯৮৫২৩৩ ডলার। নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত থাকা এবং করোনার কারণে ব্যবসায় লাভ কম হয়েছে বলে জানান জো বাইডেন।
ট্যাক্স রিটার্নকালে বাইডেন সেবামূলক কাজে ৩০ হাজার ডলার ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করেন। এরমধ্যে ১০ হাজার ডলার রয়েছে শিশু-সেবায় ১০ হাজার ডলার এবং দেলওয়ারে স্টেটে গরিবের মধ্যে খাদ্য-সামগ্রি বিতরণের জন্যে ৫ হাজার ডলার।
অপরদিকে, কমলা হ্যারিস সেবাখাতে গত বছর ব্যয় করেন ২৭ হাজার ডলার। স্মরণ করা যেতে পারে, প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন দুর্নীতি-ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে অপসারিত হওয়ার পর ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছরই প্রত্যেক প্রেসিডেন্ট তাদের ট্যাক্স রিটার্নের তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন। ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্প। জো বাইডেনও গত ২৩ বছর ধরেই তার ট্যাক্স রিটার্নের তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করছেন। এবারের ট্যাক্স রিটার্নের তথ্য হোয়াইট হাউজের প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার ছিল ট্যাক্স রিটার্নের শেষ দিন। এরপরও রিটার্ন দেয়া যাবে, তবে সেজন্যে জরিমানা গুণতে হবে ধনী আমেরিকানদের। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্যে কোন জরিমানার বিধি নেই।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.