বদির দুই ভাইসহ আত্মস্বীকৃত ২১ ইয়াবা কারবারির জামিন

ইমাম খাইর#
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর বদির ২ ভাই আবদুর শুক্কুর ও আমিনুর রহমান প্রকাশ আবদুল আমিনসহ আত্মস্বীকৃত ২১ ইয়াবা কারবারি জামিন লাভ করেছে।

অন্যান্য আসামিরা হলেন- বদির ভাই শফিকুল ইসলাম, ফয়সাল রহমান,  ভাগনে মোঃ শাহেদ রহমান নিপু, চাচাতো ভাই টেকনাফ চৌধুরী পাড়ার মো. আলম, মামা চৌধুরী পাড়ার মংমং ছেং ওরফে মমচি, ফুপাতো ভাইয়ের ছেলে কামরুল হাসান রাশেল, টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলার নুরুল বশর প্রকাশ নুরশাদ, টেকনাফের সাবরাং এর হোসাইন আহম্মদ, শাহপরীরদ্বীপের রেজাউল করিম মেম্বার, সাবরাং এর শামসুল আলম প্রকাশ শামসু মেম্বার, শাহাপরীরদ্বীপের শামশুল আলম শামিম, লেদার বোরহান উদ্দিন, দক্ষিণ নয়াপাড়ার নুর মোহাম্মদ, অলিয়াবাদের মারুফ বিন খলিল প্রকাশ বাবু, নাইট্যংপাড়ার মোঃ হাবিবুর রহমান প্রকাশ নুর হাবিব, জালিয়া পাড়ার মোহাম্মদ সিরাজ, মোঃ জুহুর আলম, মোহাম্মদ আয়ুব।

কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল গত ৩ নভেম্বর তাদের জামিন প্রদান করেন।

তাদের নামে অন্য কোন মামলায়না থাকলে ৯ নভেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছে।

এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট থেকে আগে জামিন নিয়ে মুক্তি পেয়েছেন-নুরুল হুদা মেম্বার, নুরুল কবির, মোহাম্মদ ইউনুস, মাহবুব আলম ও মঞ্জুর আলী। এ নিয়ে আত্মসমর্পণকৃত মোট ২৬ জন আসামী জামিনে মুক্তি পেলো।

২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের তৎকালীন আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, স্থানীয় সংসদ সদস্যগণ, ডিআইজি সহ আরো অনেক রাষ্ট্রীয় ভিআইপি’র উপস্থিতিতে টেকনাফ হাইস্কুল মাঠে ১০২ জন ইয়াবা ইয়াবাকারবারী আত্মসমর্পণ করেছিলো। এদের মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করে।

কারাগারে থাকা একই মামলায় আরো ৪৭ জন আসামী সোমবার ৯ নভেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল মামলার পরবর্তী ধার্য্য দিন আগামী ২২ নভেম্বর এই জামিন আবেদনসমূহ শুনানীর জন্য রেখেছেন।

২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের মঞ্চে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে ১০২ ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেন। তারা এসময় ৩ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা ও ৩০টি দেশীয় পিস্তল ও ৭০টি কার্তুজ জমা দেন।

আত্মসমর্পণকারীদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক ২ টি মামলা দায়ের করা হয়। তারমধ্যে, অস্ত্র মামলার নম্বর হলো-এসপিটি-৭৩/২০২০ ইংরেজি। এ মামলায় ৮৬ জন আসামী জামিনে আছে। অস্ত্র মামলার নম্বর হলো-এসটি-৩৫৪/২০২০।

আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে অন্তত ৩৫ জন গডফাদার রয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.