বদরখালীর এক নারীর দুই স্বামী। দুজনই বি‌য়ের কা‌বিননমা নি‌য়ে টানাটা‌নি। এলাকায় মক্ষিরাণী সেলিনা নামে,,,,,

এ,কে,এম বেলাল উদ্দীন, চকরিয়া

নারী যে কত বিচিত্র হয় তার হিসাব করা কঠিন- কথাটি এক কথাসাহিত্যিকের। তেমন এক বিচিত্র চরিত্রের নারী চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের মাতারবাড়ী পাড়ার মৃত জাফর আহমদের মেয়ে মক্ষিরানী সেলিনা আক্তার। বিয়ে নামের প্রতারনা করে সহজ সরল যুবকদের সর্বস্ব খুইয়ে নেওয়া তার কাজ। জানা যায় গত ১০ বছর আগে বদরখালী পশ্চিম নতুন ঘোনা এলাকার আব্দুল মোনাফের প্রবাসী পুত্র বেলাল উদ্দিন কে বিয়ে করে তার ঘরে একটি কন্যা সন্তান হয়। ২০১৫ সালের প্রথম দিকে সে আবার বিদেশ চলে গেলে চোখ পড়ে বদরখালী কলেজপাড়া এলাকার মৃত আব্দু ছালামের সহজ সরল পুত্র আব্দু ছবুরের দিকে। তাকে কৌশলে ফাঁদে ফেলে তার টাকা সম্পদ লুটের পায়তারা চালায়। একসময় সফল ও হয়। গত ১২ মে ২০১৫ সালে প্রথম স্বামী বেলালকে তালাকনামা দেয় তার অগোচরে। সেই থেকে ছবুরের টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করে সে। ছবুরের জমিজমার দিকে নজর দিয়ে গত ২৫ নভেম্বর কাবিন করে ইসলামী শরিয়া মতে বিয়ে করে। সে সময় ৫ ভরি স্বর্ণ সহ ৩ লক্ষ টাকার দেনমোহর আদায় করে নেয় সেলিনা। এর পরে আরো ৫ ভরি স্বর্ণ দেয় সংসার সুখের হবার জন্য। তার সমস্থ জমির কাগজপত্র , ব্যাংকের চেক সহ সব টাকা পয়সা স্ত্রীর কাছে সংরক্ষিত রাখে সরল মনের ছবুর। মক্ষিরানী সেলিনা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে দেয়নি তার আসল উদ্যেশ্য। সুন্দর অভিনয়ে সুখেই ছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। কিন্তু গত ২০ জানুয়ারী প্রথম স্বামী বেলাল দেশে আসছে জেনে সুচতুর সেলিনা তার একদিন আগে ১৮ জানুয়ারী ছবুরের অবর্তমানে বাপের বাড়ী যাবে কথা বলে তার হাতে থাকা জায়গা জমির কাগজপত্র, স্বাক্ষরিত ব্লাঙ্ক চেক বই, স্বাক্ষরিত দু‘টি ৩০০ টাকা মুল্যমানের স্টাম্প, নগদ ৭লক্ষ টাকা, স্বর্ণালংকার ও কাপড় চোপড় সহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে বাপের বাড়ী যায়। পরদিন পুর্ব স্বামী বেলাল আসলে সে আবার প্রথম স্বামীর নিকট চলে যায়। এ খবর পেয়ে অসহায় ছবুর হতভম্ব হয়ে কোন উপায়ন্তর না দেখে গত ২৪ জানুয়ারী বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে সেলিনা ও প্রথম স্বামী বেলাল সহ ৪ জনকে আসামী করে প্রতারনার মামলা দায়ের করে। মামলার খবর পেয়ে প্রথম স্বামী বেলালও বুঝে উঠতে পারছেনা সে কি করবে? এলকার প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান , সেলিনা ছবুরের আগে আরো দুজনের সাথে শাররীক সম্পর্ক ছিল আর এদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এলাকার সাধারন মানুষের কাছে প্রশ্ন একজন মেয়ের হাতে কি ভাবে দু‘যুবক জিম্মি হয় ? এলাকার সনামধন্য শিক্ষক মাস্টার শেখ মহি উদ্দিন বিএবিএড জানান, এধরনের কাল নাগীনি মহিলাকে সমাজ থেকে বের করে দেওয়া উচিত। এবং প্রশাসনিক ভাবে এদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। স্থানিয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল বশর বলেন- হ্যা এধরনের একটি অভিযোগ পরিষদে আছে । তা বিচারাধীন আছে। রসিক জনের প্রশ্ন, সেলিনা এখন কার ? ছবুরের নাকি বেলালের ? ছবুর কি তার স্ত্রী সেলিনাকে পাবে অথবা প্রতারনা করে হাতিয়ে নেওয়া নগদ টাকা ও মালামালসহ ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করতে পারবে?

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.