আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) এক জরুরি বৈঠকে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে তুরস্ক। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত থাকার মধ্যে এই প্রস্তাব তুলল আঙ্কারা।
খবরে বলা হয়েছে, দখলকৃত ফিলিস্তিনের জন্য ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রটেকশন ম্যাকানিজম’ নামে বাহিনী গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে তুরস্ক।
ওআইসি’র জরুরি বৈঠকে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানের মতো সদস্য দেশগুলো পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেছেন ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করছে। তবে তুরস্ক শুধু নিন্দা না জানিয়ে বাহিনী গঠনের প্রস্তাব সামনে এনেছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু প্রতিনিধিদের বলেন, ‘আগ্রহী দেশগুলোর সামরিক এবং আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন করে ফিলিস্তিনিদের শারীরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা উচিত।’ অন্য কোনো বিবেচনা থাকা উচিত নয়। এখন আমাদের একতা এবং সিদ্ধান্তগ্রহণের কার্যকারিতা প্রদর্শনের সময়।’ তিনি বলেন মুসলিম বিশ্ব প্রত্যাশা করছে ওআইসি নেতৃত্ব এবং সাহস প্রদর্শন করবে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে তুরস্ক।’
এই ধরনের আন্তর্জাতিক কোনও বাহিনী গঠনের বিস্তারিত নিয়ে ওআইসি’র সভায় কোনো আলোচনা হয়নি। তবে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওআইসিকে আশ্বস্ত করেছেন যে, ২০১৮ সালের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি প্রস্তাবের আওতাতেই আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত ভাবেই এই ধরনের বাহিনী গঠন সম্ভব।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগে একই ধরনের প্রস্তাব সামনে আনেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এই প্রস্তাব দেন তিনি।
গত সপ্তাহে শুরু হওয়া গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২১২ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ জন শিশুও রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.