প্রধানমন্ত্রীর ঘর পাচ্ছে লামার ৪২৬ পরিবার

মোহাম্মদ ইলিয়াছ, লামা (বান্দরবান):
‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দেয়া বাড়ি পাচ্ছেন লামা উপজেলার ভূমিহীন, গৃহহীন, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা ও অতিবৃদ্ধারা। প্রতিটি সেমি পাকা বাড়িতে রয়েছে বারান্দাসহ দুটি কক্ষ, একটি রান্নাঘর ও একটি বাথরুম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লামা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে অত্র উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে তৈরি করা হচ্ছে এই বাড়িগুলো। বর্তমানে লামা উপজেলার অনেক জায়গায় নির্মাণ কাজ শেষের দিকে আবার কিছু কিছু ইউনিয়নে চলমানও রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ি হস্তান্তর করার জন্য দ্রুত কাজ করে যাচ্ছে নির্মাণ শ্রমিকরা।

আজিজনগর ২নং চাম্বি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এলাকার অসহায় এই মানুষগুলো দীর্ঘদিন ধরে কষ্টে জীবন কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্য বাড়ি উপহার দিচ্ছেন। আর বাড়ি পাওয়ার ফলে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নিশ্চিত হবে। এ জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়িগুলো উন্নতমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। যা প্রশংসা করার মতো।’

লামা সদর ইউনিয়নের একজন স্থায়ী বাসিন্দা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার মতো প্রতিনিয়ত সব মানুষের কথা চিন্তা করেন তার আরও একটি প্রমাণ এটি। প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার পেলে দীর্ঘদিনের কষ্টের জীবন শেষ হবে ওইসব মানুষের।’

লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো: মজনুর রহমান বলেন, ‘আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করা যাচ্ছে জুন মাসের মধ্যে এই নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে এবং প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভোধনের অপেক্ষামান থাকবে।’

লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজা রশিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের মতো লামা উপজেলায়ও অসহায়, দরিদ্র, ভূমিহীন, গৃহহীন, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা ও অতি বৃদ্ধাদের উপহার দেবেন। এই বাড়িগুলোর নির্মাণ কাজ সাম্প্রতি শুরু করা হয়।এর মধ্যে গজালিয়া ইউনিয়নে ৫৯টি, লামা সদরে ৭৩টি, ফাঁসিয়াখালিতে ৩৮টি, আজিজনগরে ৬০টি, সরই ৪৩টি, রূপসি পাড়ায় ৮০ এবং ফাইতং ইউনিয়নে ২৩টিসহ মোট ৪২৬টি পরিবার ঘর পাচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উন্নতমানে সামগ্রী ব্যবহার করেছি। উপহার ভোগীরা কোনো প্রকার সমস্যা ছাড়াই র্দীঘ বছর ধরে বসবাস করতে পারবেন এ ঘরে। আগামী জুন মাসের দিকে ঘরগুলো উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই ৪২৬টি পরিবারের কাছে ঘর হস্তান্তর করা হবে।’

 

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.