ইয়ানূর রহমান : যশোরের বাঘারপাড়ার হাবুল্লাহ গ্রামের নাজমুল হক মুন্না এক বিজিবি সদস্যের কাছ থেকে মোটরসাইকেল কিনে বিপাকে পড়েছেন। দীর্ঘদিন হলেও তিনি মোটরসাইকেলের কাগজপত্র বুঝে পাননি।
অবশেষে মোটরসাইকেল কেনাবেচার মধ্যস্থ্যকারী বহরামপুরের মাসুদ হোসেন প্রতারনার অভিযোগে রোববার ১১ অক্টোবর বিজিবির হাবিলদার ফারুক হোসেনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান অভিযোগটি গ্রহন করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামি বিজিবি সদস্য ফারুক হোসেন বাঘারপাড়ার আদমপুর গ্রামের মৃত ওমর মোল্লার ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মামলার বাদী মাসুদ হোসেন ও আসামি পরস্পর আত্মীয়। আসামি ফারুক হোসেন একটি ১০০ সিসি ডিসকভার মোটরসাইকেল ( যার নম্বর- যশোর-হ-১৩-১৫০৮) বিক্রি করবেন বলে মাসুদ হোসেনকে জানান। মাসুদ হোসেন তার পূর্ব পরিচিত আব্দুল আলীমের মাধ্যমে নাজমুল হক মুন্নুর কাছে মোটরসাইকেলটি বিক্রির প্রস্তাব করেন আসামি ফারুক হোসেনের কাছে।
২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর মোটরসাইকেটি দেখে পছন্দ হওয়ায় মুন্নুা ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনে নেন। এ সময় আসামি ফারুক হোসেন মোটরসাইকেলের মালিকানা পরিবর্তনের কথা বলে কাজগপত্র রেখে দেন। এরপর মধ্যস্থকারীর মাধ্যমের তিনি ফারুক হোসেনর সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি কাগপত্র দেননি। মুন্না মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না পেয়ে মধ্যস্থকারী মাসুদ হোসেনকে আসামি করে আদালতে সিআর মামলা করেন।
মামলার প্রতিবেদনে মোটরসাইকেলে মালিক ফারুক হোসেন কোন কাগজপত্র দেননি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সেহেতু ফারুক হোসেন মোটরসাইকেল বিক্রি করে কাগজপত্র না দিয়ে প্রতারনা করায় তিনি এ মামলা করেছেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.