পেকুয়ায় টমটম গাড়িকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

পেকুয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজারের পেকুয়ার উজানটিয়া মিয়ার পাড়া এলাকায় বসতবাড়ির উঠানে টমটম গাড়ি রাখা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৬জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, উজানটিয়া মিয়ার পাড়া এলাকার নুর আহমেদের ছেলে নাজেম উদ্দিন (৪৮) তার ছোট ভাই লোকমান (৩৫), নাজেম উদ্দিনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম(৩৫), আবু ছৈয়দের স্ত্রী ইয়াসমিন (৩২), মৃত নুরুছফা এর ছেলে আকতার আহমদ (৪০) ও পারভেজ (১৮), শাহাব উদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান (১৯)। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান।আহতদের মধ্যে রোকেয়ার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

শুক্রবার ( ৩১ ডিসেম্বর ) ১২ টায় উজানটিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম উজানটিয়া মিয়ার পাড়া এলাকার নাজিমের বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত নাজিম উদ্দিন বলেন, আমার স্ত্রী রোকেয়া বেগম জাকির হোসেনের জামাই ফরিদকে টমটম গাড়ি উঠানে না রাখতে বললে সেই আমার স্ত্রীর সাথে অকথ্যভষায় গালিগালাজ করেন। গালিগালাজের এক পর্যায়ে ঘরে ঢুকে জাকির হোসেন এর নেতৃত্বে রিদুয়ান,নাঈম, সালাউদ্দিন, বাদশা মিয়া এসে আমাদেরকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। একপর্যায়ে রোকেয়াকে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে লাথি মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলে। যাবার সময় ঘরে রক্ষিত নগদ ৩০ হাজার টাকা,স্ত্রীর কানের ফুল ও নাকের দুল ছিনিয়ে নেয়। দেখতে পেয়ে স্থানীয় প্রতিবেশী আকতার আহমদ,মিজানুর রহমান ও পারভেজ আমাদের উদ্ধার করতে আসলে,তাদেরকেও মারধর করে এবং আকতার আহমদের কাছে রক্ষিত নগদ ৩০হাজার টাকা ও পারভেজের কাছে থাকা এন্ড্রয়েট মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। ঐ মোবাইলের সিমটি বিকাশ করা এবং বিকাশ ২ হাজার টাকা ছিল। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। আমার স্ত্রী’র অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আমি তাঁদের এমন অমানবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে থানা অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার বলেন,ঘটনার বিষয়ে শুনেছি তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.