এম.মনছুর আলম,চকরিয়া (কক্সবাজার) :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় পৃথক দুটি ঘটনায় ছেলের হাতে শামসুন্নাহার (৮৩) নামে বৃদ্ধা মা ও স্বামীর হাতে
সালমা বেগম (১৮) স্ত্রী খুন হয়েছে। এ দুটি ঘটনায় পুলিশ দুই ঘাতককে গ্রেফতার করেছে।
বুধবার (২৩সেপ্টম্বর) সকালে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী ও পাহাড়িয়া খালী ছনখোলা জুম এলাকায় পৃথক এই দুটি নিহতের ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় নিহত বৃদ্ধ শামসুন্নাহার ওই এলাকার মৃত বদিউল আলমের স্ত্রী এবং নিহত গৃহবধূ সালমা বেগম একই ইউনিয়নের ছনখোলা জুম এলাকার মো.আলমগীরের স্ত্রী।
বৃদ্ধ শামসুন্নাহার নিহতের ঘটনায় তার ছেলে নাছির উদ্দিনকে ও নিহত সালমা বেগমের হত্যার ঘটনায় তার স্বামী আলমগীরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ ইউনুস জানায়, নাছির উদ্দিন ও তার ভাইদের মধ্যে বসতভিটার জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। মঙ্গলবার রাতে নাছির উদ্দিন দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাকাবকা করে। আমরা তার বাড়িতে গিয়ে তাকে শান্তনা করে বাড়িতে ঢুকিয়ে দিই। নাছির উদ্দিন বাড়িতে তার মাকে নিয়ে থাকতো। সকালে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখেন ছেলে নাছির উদ্দিন। স্থানীয় প্রতিবেশী ডাকাডাকি করেও তার মা’য়ের কোন সাড়া শব্দ না পেলে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় বৃদ্ধ শামসুন্নাহারের মরদেহ মাটি থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে।
অপর দিকে, একইদিন ওই ইউনিয়নের পাহাড়িয়া খালী ছনখোলা জুম এলাকায় সালমা বেগম (১৮) নামের এক গৃহবধুকে যৌতুকের দাবিতে নির্দয় পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে পাষন্ড স্বামী। বুধবার ভোর ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ সময় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার পুলিশ ঘাতক স্বামী আলমগীরকে চমেক হাসপাতাল থেকে আটক করে। গ্রেফতার হওয়া ঘাতক স্বামী আলমগীর বারবাকিয়া ইউপির ছনখোলারজুম এলাকার জাফর আলমের ছেলে।
পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মাইন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, পৃথক দুটি ঘটনায় দুই মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের সহায়তায় দুই ঘাতককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ময়না তদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।##
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.