পাহাড় খাদক হাবিবুল্লাহ বেপরোয়া, থেমে নেই পাহাড় কাটা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
একেই বলে রামরাজত্ব রাজা যখন হাতে থাকে তখন যে কোন কাজ করতে সাহস করে মন্ত্রী, এমনই এক ঘটনার সৃষ্টি রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড় সদস্য হাবিবুল্লাহ। সম্প্রতি এই ইউপি মেম্বার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে রাম রাজত্ব কায়েম করছে, সহযোগি আছে অত্র ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধিগন। কাউয়ারখোপ বাসি জানান এই হাবিবুল্লাহ মেম্বার প্রশাসনকে টিকঠাক রেখে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় নিধন করছে, ফলে পরিবেশ এর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই দিকে ৭,৮,৯, এর মহিলা সদস্যা জানান এই ইউপি সদস্য পাহাড় কাটছে নির্বিচারে এর সাজা ভুগতে হচ্ছে আমাদের। এই মেম্বার প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এখনো পাহাড় নিধন করেই চলেছে, কিন্তুু কোন কাজের কাজ কিছুই করছে না প্রশাসন, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এলাকার মকতুল হোসেন এর বাড়ির পাশের পাহাড়টি কেটে সাবাড় করে ফেলেছে, এই মাটি কোথায় নেওয়া হয়েছে মকতুল হোসেন এর পরিবার হতে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান, এইখান থেকে মাটি নিয়ে পার্শবর্তী ইটের ভাটা সহ বিভিন্ন জায়গা ভরাট এর কাজে ব্যবহার করছে হাবিবুল্লাহ মেম্বার, তাদের কোন টাকা দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে মকতুল হোসেন এর পরিবার জানান, আমাদের কোন টাকা পয়সা দেন না, এইদিকে নাম প্রকাশে জৈনক ব্যক্তি জানান, এই হাবিবুল্লাহ মেম্বার এর বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তা হলে অচিরেই পাহাড় শেষ করে ফেলবে, এই ব্যাপারে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদফতর এর সহকারি পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি অবগত আছি এই হাবিবুল্লাহ মেম্বার এর ব্যাপারে তদন্ত করছি কতটুকু সত্য। সত্যতার প্রমান পেলেই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে, এইদিকে কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ জানান, হাবিবুল্লাহ পাহাড় কাটার সাথে সম্পৃত্ত আছে বলে আমি শুনতে পেয়েছি তবে প্রমান সরুপ কোন কিছু এখনো হাতে আসেনাই, এইদিকে সাধারন জনগন বলছে দিনে দুপুরে হাবিবুল্লাহ পাহাড় কেটে বিভিন্ন্ জায়গায় মাটি বিক্রি করছে এবং এর ভাগ পরিবেশ অধিদফতর সহ জনপ্রতিনিধিরাও পান, তারা জোর দাবি জানান যেন পরিবেশ বিনষ্টকারী হাবিবুল্লাহ মেম্বারকে আইনের আওতায় আনার।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.