পাহাড়তলী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম সহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

জে,জাহেদ চট্টগ্রাম:

নগরীর পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম (ওসি)সহ ৭ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন মোছাম্মৎ মেহেরুন্নেছা নামের এক মহিলা।

সোমবার (৩০ এপ্রিল) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়ার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- পাহাড়তলী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আবু সায়েদ, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) উত্তম ধর, ফজলুল বারী ও জিন্টু বড়ুয়া এবং কনস্টেবল নাজিম উদ্দিন ও মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

বাদীর আইনজীবী বাবুল দাশ জানান, মেহেরুন্নেছার ছেলে মেহেদী হাসান নাঈম এবং তার দুই বন্ধু তানজিল ইসলাম ও সাজিকুল ইসলামকে ২৫ এপ্রিল রাতে নগরের পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়ার মাম টাওয়ারের সামনে থেকে পুলিশ আটক করে।

পাহাড়তলী থানার এসআই মোহাম্মদ আবু সায়েদের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাদের আটক করে। খবর পেয়েই থানায় যান মা মেহেরুন্নেছা।

বাবুল দাশ আরও বলেন, পুলিশ সদস্যরা ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন।

টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মেহেদী হাসান নাঈমকে মারধর করে পুলিশ। পরদিন নাঈমকে ৪০ পিস এবং তানজিলকে ১২ পিস ইয়াবাসহ আটক দেখিয়ে পাহাড়তলী থানায় একটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।

ওই মামলায় তাঁরা দুইজন এখনো জেল হাজতে।

সাজিকুল ইসলাম জামিনে আছেন। এরপর থেকেই মেহেদীর মাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

আদালতে মোছাম্মৎ মেহেরুন্নেছার দায়ের করা মামলায় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ৩২৩,৩৮৫ এবং ৫০৬/৩৪ ধারায় যথাক্রমে মারধর,জোরপূর্বক অর্থ আদায় এবং হুমকি প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৩০ মে’র মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

পাহাড়তলী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, থানার কর্মকর্তারা মেহেদী হাসান নাঈমসহ সহযোগীদের ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছেন। নগরের কোতোয়ালি থানায়ও নাঈমের বিরুদ্ধে ২টি মাদকের মামলা রয়েছে।মামলাটি উদ্দশ্যপ্রনোদিত বলে ও জানান তিনি।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.