মাঝসাগরে পর্যটকসহ আটকে আছে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস

বিশেষ প্রতিবেদক:
অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ায় ভারসাম্য রাখতে না পেরে ছয় ঘণ্টা ধরে চরে আটকা পড়েছে সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজারগামী একটি জাহাজ। কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামের জাহাজটি কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরের বাকখালীর মোহনায় আটকে পড়ায় সেন্টমার্টিন ফেরত যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। চরম আতঙ্কে পার করছেন সময়। তাদের কবে উদ্ধার করে কক্সবাজার পৌঁছাবে সে বিষয়েও জানাতে পারছে না জাহাজ কর্তৃপক্ষ।

বুধবার সন্ধ্যার পর সেন্টমার্টিন থেকে আসার পথে জাহাজটি সাগরের বাঁকখালী মোহনায় একটি চরে আটকে যায়। রাত দুটায়ও সেটি সেখানে আটকে আছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরআগে একই জাহাজ সকালেও হাজার খানেক পর্যটক নিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা আটকে ছিল।

জানা গেছে, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহজটি পর্যটক নিয়ে সকাল ৭টায় কক্সবাজার বিআইডাব্লিও ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। কিন্ত বাঁকখালী নদীর মোহনার শেষ প্রান্তে গিয়ে চরে আটকে যায়। পরে চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসা হয় একই কোম্পানির বিশাল জাহাজ বে ওয়ান। বে ওয়ান যাত্রীদের নিয়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছে দুপুরে। আবার বিকালে ফিরতি যাত্রী নিয়ে আসা বে ওয়ান থেকে রাত ৯টার দিকে নাজিরারটেক সংলগ্ন বাঁকখালীর মোহনায় এসে কর্ণফুলি জাহাজে উঠানো হয় কক্সবাজারগামী যাত্রীদের৷ এতে সকালের মত কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে উঠা যাত্রীরা পড়েন বিপাকে৷ আবারও চরে আটকা পড়েন তারা৷

ছয় ঘণ্টা ধরে জাহাজটি আটকে থাকায় ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেক যাত্রী ক্ষুধার কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। গভীররাতে সাগরের মোহনায় আটকে থাকায় আতঙ্কে আছেন অনেকে। এছাড়া পৌঁছাতে না পারায় অগ্রিম কেনা বাস ধরতে পারেননি।

এ ব্যাপারে কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের কক্সবাজার অফিসের ইনচার্জ আবু তৈয়ব বলেন, চরে আটকা পড়েছে জাহাজটি এটা সত্য।

কিন্তু যাত্রীরা দাবি করছেন, ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী বহন করায় চরে আটকে আছে। অন্তত এক হাজার যাত্রী আছেন সেখানে৷ এতে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.