পবিত্র ভূমিতে ‘খুনি’ নেতানিয়াহুর সফর, প্রশ্নের ‍মুখে সৌদি আরব

অনলাইন ডেস্ক:
মুসলমানদের পবিত্রতম স্থান মক্কা ও মদিনার সৌদি আরবে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সফরের অনুমতি দেয়ার ব্যাখ্যা চেয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

আজ সোমবার হামাসের প্রভাবশালী নেতা সামি আবুযুহরি বলেছেন, সৌদি আরবে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গোপন সফর গোটা মুসলিম উম্মাহর প্রতি অবমাননা। এর মাধ্যমে গোটা মুসলিম বিশ্বকে অপমান করা হয়েছে‌। একইসঙ্গে এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জাতির সব অধিকারকে পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সৌদি আরবকে অবশ্যই ব্যাখ্যা দিতে হবে। তিনি আরও বলেছেন, ‘খুনি নেতানিয়াহুর এই সফরের ঘটনা অত্যন্ত বিপজ্জনক।’

সৌদি আরবে মুসলমানদের পবিত্রতম স্থান মক্কা ও মদিনা অবস্থিত। মক্কায় রয়েছে কাবা শরিফ। সৌদি ভূখণ্ডেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম। এ কারণেই ইসলামী বিশেষজ্ঞরা মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু ও তৃতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদুল আকসার দখলকারী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে রাসূল (সা.) এর জন্মভূমিতে প্রবেশ করতে দেওয়াকে সব মুসলমানের জন্য অপমানজনক বলে মনে করছেন।
ফিলিস্তিনে প্রায় প্রতিদিনই মুসলমানদের হত্যা করছে নেতানিয়াহুর সরকার। নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলি নেতাদেরকে মুসলমানেরা ভয়াবহ খুনি হিসেবেই চেনে। ইসরায়েলি পত্রিকাগুলো খবর দিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল গোপনে সৌদি আরব সফর করেছেন। সেখানে তিনি সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও বৈঠক করেন। দখলদার ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের প্রধান ইউসি কোহেনও এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের সত্যতা স্বীকার করে দখলদার শিক্ষামন্ত্রী ইউভ গ্যালান্ট বলেছেন,সত্যিই সফর ও বৈঠক হয়েছে। এটা ইসরায়েলের জন্য চমৎকার অর্জন। ইসরায়েলি এই মন্ত্রী যখন এ বিষয়ে কথা বলছিলেন তখন তাকে বেশ উল্লসিত মনে হচ্ছিল। সূত্র : পার্সটুডে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.