ডেস্ক নিউজ:
আবারও আইন প্যাচে ‘সারেগামাপা’ খ্যাত বাংলাদেশি গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। এবার তার বিরুদ্ধে সরাসরি ঢাকা জর্জকোর্টে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ঠুকে দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইথুন বাবু। তাকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ায় সোমবার বাদী হয়ে মামলটি করেন তিনি।
জানা গেছে, আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে হাজির থাকতে হবে মামলার একমাত্র আসামি নোবেলকে। গত কয়েকদিনে পাবনা, রাজশাহী ও বগুড়া ঘুরে বর্তমানে তিনি নিজ জেলা গোপালগঞ্জে অবস্থান করছেন। যেটি তার সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা গেছে। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে অংশ নেয়ার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কিন্তু ইথুন বাবুকে নিয়ে কী স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন নোবেল? সম্প্রতি বিতর্কিত এই গায়ক তার ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘ইথুন বাবু একটা চোর। সে অন্যের গানকে নিজের নামে চালায় দিছে।’ এই ঘটনার পর ইথুন বাবু প্রথমে গত ২৩ মে নোবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডিতে তিনি মানহানির অভিযোগ তোলেন। একই অভিযোগে সোমবার করলেন মামলা।
এ ব্যাপারে ইথুন বাবু বলেন, ‘দীর্ঘ সংগীত জীবনে যে কথা কেউ কোনোদিন বলতে পারেনি নোবেল আমাকে সেই কথা বলেছে। আমি নাকি চোর? ভক্ত-শ্রোতাসহ সারা দেশে আমার অসংখ্য বন্ধু শুভাকাঙক্ষী আছে। নোবেলের স্ট্যাটাসের কারণে সবার কাছে আমার সম্মানহানি হয়েছে। তাই আমি সুষ্ঠু বিচারের জন্য আইনের আশ্রয় নিয়েছি। থানায় জিডির পর আদালতে মামলা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফেসবুক পেজ থেকে নোবেলের করা ওই স্ট্যাটাসগুলো আমাদের সংগীতাঙ্গনের জন্য অশনি সংকেত। সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে এভাবে কথা বলার পাশাপাশি সে মিডিয়াকে হুমকি দিচ্ছে, সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখাচ্ছে। তার কত্ত বড় সাহস! দেশের চলমান আইনে তার শাস্তি হওয়া উচিত।’
প্রসঙ্গত, নোবেলের ক্যারিয়ার শুরু থেকেই বিতর্কিত। যে ‘সারাগামাপা’ অনুষ্ঠান থেকে তার পরিচিতি, সেখানকার বিচারকদের সঙ্গে পর্যন্ত তিনি বিবাদে জড়িয়েছেন। বলেছেন, তার গান বিচার করার ক্ষমতা নাকি ওই বিচারকদের নেই। এ জন্য তাকে ‘সারাগামাপা’ থেকে কয়েকটি পর্বের জন্য সাসপেন্ডও করা হয়েছিল। তিনি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দেশের খ্যাতনামা গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদের সঙ্গেও।
এরপর কলকাতার একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন নোবেল। সে সময় তিনি দুই বাংলার মানুষেরই রোষের মুখে পড়েন। সেই যে শুরু, গত কয়েক বছর ধরে তিনি সারা বছরই কোনো না কোনো বিতর্কিত মন্তব্য ও কাজ করে আলোচনায় থাকেন নোবেল। তার এই ধারাবাহিক বিতর্কের শেষ কোথায়? উত্তর নোবেলই জানেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.