নির্বাচনে সেনা মোতায়েন ইসির উপর নির্ভর করছে : কাদের
ওয়ান নিউজঃ আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নেবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা মোতায়েন করা হবে কিনা, সেটি তো নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে। সেখানে সরকারের কিছু করার থাকবে না।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেতু ভবনে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জুলিয়া নিব্লেটের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, নির্বাচনের সময় তো নির্বাচন কমিশন সব সিদ্ধান্ত নেবে, সরকার কেবল রুটিন ওয়ার্ক করবে। নির্বাচন কমিশনের যা প্রয়োজন তা পূরণে সহযোগিতা করবে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থা নির্বাচন কমিশনের অধীনেই থাকবে।
কমিশনের রোডম্যাপ নিয়ে বিএনপির সমালোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি তো সরকারের বিষয় না। আর এটি কোরআন বা বাইবেল না। সব দলকে নিয়ে, অন্তত নিবন্ধিত দলগুলো নিয়ে; আলোচনার মাধ্যমে এটি পরিমার্জন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিশোধিত; কারো কোনো সাজেশন থাকে তা সংশোধন করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, কিন্তু রোডম্যাপের সমালোচনা করতে গিয়ে বিএনপি এমন সব বিষয়ের অবতারণা করছে যাতে করে তাদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে যে তা বোঝা যাচ্ছে। তারা পথ হারিয়েছে, এখন দিশেহারা; কি করবে? এক নেতা লন্ডনে, আরেকজন ২ মাসের জন্য চলে গেছেন, আসবে কখন কেউ জানে না। আবার আসবে কিনা সেটা নিয়েও গুঞ্জন দেখা দিয়েছে। সেজন্য আমাদের শেষপর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
কাদের বলেন, এ জন্য ফখরুল সাহেবের মাথা গরম হয়ে গেছে, কথা শুনেই বুঝা যাচ্ছে। কারণ তিনি হতাশায় পড়েছেন।
নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের বিভিন্ন চাপের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত কিন্তু আমার সাথে ওভাবে কথা বলেননি। তিনি বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের সম্পর্ক হিসেবে নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলেছেন, আমার কথা শুনেছেন।
তিনি বলেন, এখন আর কারো চাপ দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ আমরা উন্নত হয়েছি আগের চেয়ে। কোন চাপ আসলে সেটি জনগণ দেবে। বাইরে থেকে এসে চাপ দেওয়ার সময় চলে গেছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.