নিজেরা নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করবেন না, দ্বন্দ্ব মেটাতে বললেন কাদের

চট্টগ্রাম  প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব মেটানোর চেষ্টায় দুই নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং আ জ ম নাছির উদ্দিনকে নিয়ে বৈঠক করলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মহানগরীর চশমাহিলে রোববার মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় এ বৈঠক হয়।

প্রথমে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় যান ওবায়দুল কাদের। সেখানে আসেন নাছিরও। সেখানে দেড় ঘণ্টা অবস্থান করেন ওবায়দুল কাদের। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি বেরিয়ে সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সেখানে নাস্তাও করেন ওবায়দুল কাদের।

বৈঠকে ওবায়দুল কাদের মহিউদ্দিন চৌধুরীকে বলেন, ‘আপনি আমাদের মুরব্বি। আমার নেতা। নাছির আমাদের ছোট। আপনি নাছিরেরও নেতা। সংগঠনে টুকটাক সমস্যা থাকবে। কিন্তু আপনারা নিজেরা যদি এ নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করেন তাহলে বিষয়টা কেমন লাগে? কোনো সমস্যা থাকলে আমাকে সরাসরি জানাবেন। আমি সমাধান করতে পারব না মনে করলে নেত্রীকে জানাবেন। কিন্তু নিজেরা নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করবেন না।’

এ সময় মহিউদ্দিন ও নাছির নিশ্চুপ থাকেন বলে জানা যায়।

বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান করে শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যেই এ বৈঠক করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মাত্র দুই বছর বাকি। আমরা আমাদের নিজেদের ভেতরের সমস্যাগুলো সমাধান করে ফেলতে চাই।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী তিন মাসের মধ্যে আমরা পার্টির অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো সমাধান করব। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আমাদের যেসব সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন হয়নি সেগুলো করে ফেলব। নির্বাচনের জন্য আমরা অলআউট প্রিপারেশনে যাচ্ছি। চট্টগ্রাম দিয়ে এ যাত্রা শুরু করলাম।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘মহানগর আওয়ামী লীগ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর ছাত্রলীগ নিয়ে ঘরোয়া আলোচনা করেছি। একটা টিমওয়ার্ক গড়ে তুলব।’

একই দলের হলেও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক নাছিরের মধ্যে দ্বন্দ্ব গত কয়েক বছর ধরে এক আলোচিত ঘটনা। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ-যুবলীগ এবং চট্টগ্রামে বিএমএর নির্বাচন নিয়ে পরস্পরমুখী অবস্থান নেন মহিউদ্দিন ও নাছির। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) দুটি প্যানেলকে দুই নেতা সমর্থন দেন।

দুই নেতার মধ্যে রেষারেষির প্রভাব নির্বাচনেও পড়েছে একাধিকবার। আগামী জাতীয় নির্বাচনে যেন এমনটি না হয়, সে জন্য বিরোধ মিটিয়ে দুই জনকে এক করার চেষ্টায় আছে আওয়ামী লীগ।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.