‘নারী মুক্তি গণতন্ত্রের মুক্তির উপর নির্ভর করে’

ওয়ান নিউজঃ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নারী মুক্তির সীমা নির্ভর করবে গণতন্ত্রের মুক্তির উপর। আমরা যদি গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে নারী অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বুধবার ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের শোভাযাত্রা শেষে তিনি এ সব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি জিনিস আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, নারীর মুক্তি, নারীর স্বাধীনতা সব কিছুই নির্ভর করবে যদি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা থাকে। আমাদের অধিকারগুলো যদি আমরা পুনরুদ্ধার করতে পারি তাহলেই শুধু নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারব।

বাংলাদেশে নারী মুক্তি আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘তিনিই প্রথম উপলব্ধি করেছিলেন অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে পেছনে ফেলে রাখলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। সে কারণেই তিনি একটি মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সর্বক্ষেত্রে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে তার উত্তরসূরী বেগম খালেদা জিয়া এই উদ্যোগকে আরও বেগবান করেছিলেন।’

এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার নিজেদেরকে প্রগতিশীল ভাবে অথচ শেখ হাসিনার অধীনে এত বেশী নারী-শিশু নির্যাতন হয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তিনি আরও বলেন, নারীর অগ্রগতির পক্ষে বিএনপির যে অবদান তা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সাথে তুললা করলে একইঞ্চিও হবে না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নুরে আরা সাফা, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, নেত্রী হেলেন জেরিন খান, খালেদা ইয়াসমিন, নিপুন রায় চৌধুরী, জেবা খান প্রমুখ।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.