নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্তকে নিয়ে অশোভন আচরণের অভিযোগ তুলে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনিন সরওয়ার কবেরীকে বহিস্কারের দাবি দিয়েছেন সংগঠনটির কক্সবাজার জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবী আদায় করে নেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।
শনিবার (৭ নভেম্বর) সকালে কক্সবাজার শহরে অনুষ্ঠিত হিন্দু, বৌদ্ধ-খৃীষ্টান ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ সভা থেকে এ দাবি দেয়া হয়েছে।
ধর্ম অবমাননার নামে গুজব, ধর্মীয় জিগীর তুলে দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও কুমিল্লার মুরাদনগরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু এলাকায় আক্রমণের প্রতিবাদ, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও মন্ত্রণালয় গঠন এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারসহ ১০ দফা দাবীতে গনঅবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ খৃীষ্টান ঐক্য পরিষদ কক্সবাজার জেলা শাখা ও এর সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের পৌরসভা কার্যালয়ের চত্তরে এই মানবন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানবন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ হিন্দু-বৈদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, সহসভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও ট্রাস্টি বাবুল শর্মা, ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ডা: পরিমল দাশ, শহর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বেন্টু দাশ, জেলা আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব এড.বাপ্পী শর্মা, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধূরী দোলন, জেলা ঐক্য পরিষদ নেতা শ্বপন শর্মা রণি, জেলা নেত্রী দীপ্তি শর্মা, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ডা: পুলিন দে, জেলা ঐক্য পরিষদ নেতা থোয়াই অং বুবু রাখাইন, পরিমল বড়ুয়া, অধ্যাপক নিলোতপল বড়ুয়া, অজয় আচার্য্য, প্রদীপ ভট্রাচার্য্য, উৎসবময় চৌধুরী, বলরাম দাশ অনুপম, সাগর পাল সাজু, রুবেল বড়ুয়া।
বক্তারা বলেন, মুরাদনগর পার্বতীপুরে হামলার সঠিক বিচার করতে হবে। অধ্যাপক কুশল চক্রবর্তীকে হত্যার হুমকিদাতাকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করতে হবে। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে এই দেশকে স্বাধীন করেছি। এই দেশে কোন সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই।
অসাম্প্রদায়িক উন্নত রাষ্ট্র গড়তে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করার আহবান জানান বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে পৌরসভার সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছে শেষ হয়।
মানবন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা হিন্দু-বৈদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতা এড.মৃনাল চক্রবর্তী, মৃণাল আচার্য্য (ঈদগাও), মাস্টার জেমসেন বড়ুয়া, স্বরুপম পাল পাঞ্জু, চঞ্চল দাশগুপ্ত, স্বপন গুহ, স্বপন বড়ুয়া, জনি ধর, তপন ধর, শিমুল পাল,এড.রতন বড়ুয়া,চন্ডি আচার্য্য,সুমন চৌধূরী আগুন,দেবাশিষ দাশ দেবু,মন্থেলা রাখাইন,শুভ দত্ত বড়ুয়া,জ্যেতী মল্লিক বাবু,সেবক পাল,লালন পাল,বিকাশ কান্তি সুশিল,প্রদীপ শর্মা,ডা:উল্লাস ধর,মৃদুল মল্লিক,সুজন শর্মা জন,বিপ্লব মল্লিক শুভ,ডা: পরিমল কান্তি সুশীল(মহেশখালী),ননি সুশিল(টেকনাফ),ডা অজিত কান্তি দে(ঈদগাও),সুমন শর্মা(উখিয়া),জেলা যুব ঐক্য পরিষদদের সোহেল বড়ুয়া,প্রিতম ধর,সজল মল্লিক,প্রতাপ শর্মা,রণি দাশ,জজ রাখাইন,দিলীপ বড়ুয়া,কল্যাণ বড়ুয়া,রুবেল বড়ুয়া,তপন বড়ুয়া,বিধান বড়ুয়া,দীপ্ত দাশ,ডালিম বড়ুয়া,বাবুল শর্মা (উখিয়া)।
জেলা ছাত্র ঐক্য পরিষদের মধ্যে ছিলেন-সজল দাশ,জয় বড়ুয়া,সৃজন বড়ুয়া,প্রসেনজিত মল্লিক(রামু),সমীর চৌধূরী,প্রতীক বড়ুয়া,অর্প বড়ুয়া,আমলান বড়ুয়া,মৃণাল কান্তি শর্মা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.