মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষংছড়ি
নাইক্ষ্যংছড়ির ৫ ইউনিয়নে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দী তলিয়ে গেছে ব্রিজ ও ক্ষেতখামার। বাড়ি-ঘরে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি। গ্রামীণ সব সড়ক, ফসলি জমি তলিয়ে আছে পানিতে। ভেসে গেছে অগ্রীম রবিশষ্যের ক্ষেত আর পুকুর ও খামারের মাছ। ৪ জন ভেসে এ পানিতে। টানা ৪ দিনের ভারী বষর্ণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট এ বন্যায় এমনই অবস্থা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন এবং ককসবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া,গর্জনিয়া,ঈদগড় ও কাউয়ারখোপসহ সব কটি ইউনিয়ন । এখানে প্লাবিত হয়েছে এই ২ উপজেলার ৪০টি গ্রাম। পানিবন্দী হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
সূত্র আরো জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে সব কটিতে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। তন্মধ্যে বাইশারী ১ টি ইউনিয়নের অবস্থা খুবই নাজুক। ৪ দিন ধরে টানা বর্ষণে এ ইউনিয়নের বেশির ভাগ ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে আছে।
বাইশারীর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানী বলেন,তার ইউনিয়নের সব রাস্তা-ঘাট লন্ড-ভন্ড হয়ে গেছে। অন্তত ১ হাজারাধিক ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ৩ শতাধিক মানুষ পানিতে হাবু-ঢুবু খাচ্ছে। উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বৃহস্পতিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পাহাড় ধসের ঘটনা ও ঘটছে অসংখ্য। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন,কয়েক দিনের টানা বর্ষণে বন্যার আশংকায় উপজেলার অন্তত : ৩০ টির অধিক অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বাইশারীতে বেশ কটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল পানির নিচে। এছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নে ও ক্ষতির আশংকা করছেন তিনি। পাহাড় ধসে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে।
এদিকে ককসবাজারের রামু উপজেলার পাহাড়ি ৪ ইউনিয়নসহ সব কটি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে নিম্নাঞ্চাল তলিয়ে গেছে। এ সবের অন্তত তলিয়ে পাহাড়ি ৪ ইউনিয়নসহ পুরো উপজেলা। বিশেষ করে কচ্ছপিয়া,গর্জনিয়া,ইদগড় ও কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম তলিয়ে গেছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে । এই ৪ ইউনিয়নের অন্তত: ২০ টি গ্রামের ৪ হাজারাধিক ঘর-বাড়ি পানির নিচে। কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ছালেহ আহমদ জানান, ইউনিয়নের চাকমাকাটা,ফাক্রিকাটা,তিতারপাড়া,নতুন তিতার পাড়া, চাকমার কাটা গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি, তফসিল অফিসসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,আল-হেরা জামে মসজিদ,হাফেজ খানা।
গর্জনিয়ায় বোমাংখীল ও ক্যায়জরবিল সহ এই ৪ ইউনিয়নের ২০ গ্রামের সব কটি ঘরবাড়ি এ সংবাদ লেখা-কাল ( বিকাল ৫ নাগাদ) পানির নিচে। তবে সন্ধ্যা ৭ টার পর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে বলে স্থানীয় চেয়ারম্যানরা জানান এ প্রতিবেদককে।
কৃষক কবির আহমদ,শামশুল আলম ও মোহাম্মদ শফিক জানান,তারা পেশায় কৃষক। তাদের আগাম রবিশস্যের ক্ষেত এখন পানির নিচে। তাদের মতো উপজেলায় অন্তত ১ শতাধিক একর ক্ষেতের কয়েকহাজার কৃষকের একই দশা। তারা আশংকা করছেন ১৪ ঘন্টার অধিক পানির নিচে থাকায় তাদের এ ক্ষতের ফসল পঁচে যাবে।
রামু উপজেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বলেন,রামু উপজেলার প্রায় সব কটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তার জানা মতে উপজেলার,ফতেখারকূল,খুনিয়াপালং, ঈদগড় ও গর্জনিয়া ইউনিয়নে পানিতে ৪ জন ভেসে গেছে। তাদের মধ্যে ১ জন শিশু একজন উপজাতী। আরেক জন সিএনজি ড্রাইভার। ফলে এখানকার মানুষ অতিকষ্টে দিন যাপন করছে। অনেকের পানীয় জল ও খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। তিনি উপজেলা প্রশাসন সহ সকলকে বন্যার্তদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আবু তাহের দেওয়ান বলেন,তার কাছে ২ জনের মৃত্যু খবর রয়েছে। বাদীদের বিষয়েও তিনি খেঁজ নিচ্ছেন। বন্যার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন।
Internet Chicks naturally like your web site however you need to take a look at the spelling on several of your posts. A number of them are rife with spelling problems and I find it very bothersome to tell the truth on the other hand I will surely come again again.