নাইক্ষ্যংছড়িতে সরকারি কর্মকর্তার জমি দখলে নিতে মরিয়া আবু তালেব

কচ্ছপিয়ার আবু তালেব সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ

সংবাদদাতাঃ
সাংবাদিকতার দাপট দেখিয়ে জমির মালিকের দেয়া কেয়ার টেকারকে হাতে নিয়ে পাহাড়ি প্রায় ৭৫ একর জমি জবরদখল করার চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ উঠেছে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ই্উনিয়নের মোবাশে^র এর ছেলে আবু তালেব সিকদারের বিরোদ্ধে । সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন বলেও জানা গেছে।গত রবিবার জমির মালিক প্রাক্তন প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা মোঃ সুলতান আহমদ সিরাজী এই অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জারুলিয়াছড়ি এলাকায়। এই জমি সংক্রন্ত্র বিষয় নিয়ে যেকোন সময় জবরদখলকারি আবু তালেব সিকদার বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামা করাতে পারে এমন মনে করছেন অভিযোগকারি।
অন্যদিকে একইদিন আবু তালেব সিকদার তার ফেইজবুক ওয়ালে সুলতান আহমদ সিরাজীকে ভুমিদস্যূ বলায় কক্সবাজার মডেল থানায় সাধারন ডায়রি করেছে বলেও জানা গেছে।
সুলতান আহমদ সিরাজী জানান, আমি একজন অবসর প্রাপ্ত ১ম শ্রেণির গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা (কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক) হই। আমি বিগত ২০০০ইং সনে হটিকালচার বাগান সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা হইতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন ১নং সিটের ১ নং দাগের হোল্ডিং নং- ১৯৯/জি (হাট), হার্ট/২১৭, হাট/২২৩ মোট ৭৫.০০ একর জমি আমার লীজ খরিদসূত্রে প্রাপ্ত তথায় বিভিন্ন প্রজাতির বনজ ও ফলজ বাগান সৃজনক্রমে ভোগদখল করে আসছি। উপরোক্ত ২নং বিবাদী আমার উক্ত প্লটের কেয়ারটেকার ছিল। অপরদিকে আবু তালেব সিকদার একজন ভুয়া সাংবাদিক ও চাঁদাবাজ লোক বলে আমি জানতে পেরেছি। নিজেকে সাংবাদিক হিসাবে ভূয়া পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সহজ-সরল সম্মানিত সরকারি/বেসরকারি লোকজনদের বিভিন্ন কায়দা-কৌশলে জিম্মি করে চাদাবাজী করা ও চাঁদা না দিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন মানহানিকর অপপ্রচার চালানো তার নিত্য-নৈমিত্তিক পেশা ও নেশা এমনটা নজওে এসছে। বিগত ২০২২ইং সনে উপরোজ ইয়াকুব তার সহযোগী আবু তালেব সিকদারের সহায়তায় ও ইন্ধনে দূর্ভোভের বশবর্তী হয়ে উক্ত প্লটের জায়গা এবং অবস্থিত বাগানের গাছ আত্মসাৎ এর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অপচেষ্টা চালাতে থাকিলে এবং ২নং বিবাদী আমার বাগান হইতে গাছ কেটে বিক্রি বিক্রি করলে আমি বাদী হয়ে এব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতে চাঁদাবাজী মামলা নং- জি. আর ০৪/৩১, তাং- ১১/০৩/২০২৩ ইং, ধারা- ৩৪/৪৪৭/৪২৭/ ৩৭৯/ ৩৫/৫০% না কি দায়ের করি। যা তদন্তক্রমে বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করা হয়। বর্তমানে উক্ত মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য এবং পূর্বের ন্যায় চাঁদার টাকার দাবীআেবু তালেব সিকদার ও ইয়াকুব পরস্পর যোগসাজসে আমাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদানপূর্বক আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার করছে। বিশেষ উল্লেখ্য যে, আমার উল্লেখিত প্লটের পূর্ব পার্শ্বে জনৈক আবদুল মতলব সওদাগর নামে ২টি (১৯৫(জি) নামে একটি প্লট ছিল। উক্ত আবদুল মতলব মরণে ইতিমধ্যে আবু তালেব সিকদার উদ্দেশ্যমূলকভাবে উক্ত মতলবের ছেলের কাছ হইতে একটি অকার্যকর, বাতিলযোগ্য নোটারাইজড স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র সম্পাদন করে উক্ত প্লটের সাথে আমার প্লটের সাথে কোন ধরণের সম্পৃক্ততা না থাকা স্বত্ত্বেও সে ইয়াকুবের সহায়তায় আমার প্লট, বাগান জোরপূর্বক জবর দখলের বেআইনী অপচেষ্টায় করছে। আবু তালেব তার কুউদ্দেশ্যে সাধনে ব্যর্থ হয়ে ইতিমধ্যে সে তার সহেযাগী ইয়াকুবের কুপ্ররোচনায় তার ব্যবহৃত ‘সাংবাদিক আবু তালেব সিকদার নামীয় একটি ফেসবুক আইডি থেকে আমার বিরুদ্ধে ‘ভূমিদস্যু মর্মে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর কথাবার্তা লেখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস পোস্ট করে। যার ফলে আমার ব্যক্তিগত ও সামাজিক মান মর্যাদা সামভাবে ক্ষুন্ন হইতেছে। আমি একজন অবসর প্রাপ্ত ১ম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসাবে আবু তালেবের এমন কর্মকান্ডে আমিসহ আমার সমমনা কর্মকর্তাগণেরও চরম ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। ইতিপূর্বে উক্ত বিষয়ে আমি বাদী হয়ে আবু তালেব সিকদার ও ইয়াকুবের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একখানা সাধারণ ডায়েরী দায়ের করি। জিডি নং- ১৩৯৮, তাং- ১৫/১০/২০২৩ইং। বর্তমানে আবু তালেব সিকদার আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে তাকে দাবীকৃত চাঁদা না দিলে সে আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে আরো বিভিন্ন মিথ্যা, মানহানিকর স্ট্যাটাস দিবে, আমার মান-মর্যাদা ক্ষুন্ন করিবে ইত্যাদি।তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি আশা করছি আইন বিষয়টি বিবেচনায় নিবে।
স্থানীয় নাম প্রকাশ না করার স্বর্তে একজন জানান, আবু তালেব সিকদারের নামে রেকড়ীয় কোন জমি সেখানে নেই । তার পরেও প্রাক্তন একজন সরকারি প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা সুলতান আহমদ সিরাজীর জমি নিজের জমি বলে দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সে বাঙ্গালী ও উপজাতির মধ্যে সংর্ঘষ ঘটতে পারে।
এব্যাপারে জানতে আবু তালেব সিকদারকে বেশ কয়েকবারফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.