ধর্ষণের কারণে কক্সবাজারে কাউকে যেন মৃত্যুদণ্ডের আসামি হতে না হয়- প্রত্যাশা মেয়র মুজিবের

ইমাম খাইর#
ধর্ষণের মতো ঘৃণিত ঘটনার জন্ম দিয়ে কক্সবাজারে কাউকে যেন মৃত্যুদণ্ডের আসামি হতে না হয়, এমন প্রত্যাশা করেছেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেছেন, দেশ থেকে দুর্নীতি ওঠে যাবে। ধর্ষণসহ সব ধরনের অপরাধ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কোন অপরাধী পার পাবে না।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ৩ নং বিট পুলিশিং কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র মুজিব বলেন, অপরাধ করে পার পেয়ে যাবেন, এমন মনে করবেন না। ইতোমধ্যে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। আইনের কঠোর প্রয়োগ হবে।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সদর থানার সামনে খোলা মাঠে অনুষ্ঠানটি হয়েছে।

পর্যাপ্ত ডকুমেন্টস ছাড়া কোন হোটেলে যেন বুকিং দেয়া না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন মেয়র মুজিবুর রহমান।

দুঃখ করে তিনি বলেন, কক্সবাজারে কিছু ভুয়া ফেসবুক ব্যবহারকারী আছে। তারা উন্নয়ন কাজগুলো দেখে না। শুধু অপপ্রচারে মজা পায়।

মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা ফুলের মতো পবিত্র ও সুন্দর হতে চাই।

পুলিশিং কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) পংকজ বড়ুয়া, কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস, কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ শাহেনা আকতার পাখি, পৌর কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন পুতু।

৩ নং বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই দস্তগীর হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, যারা মায়ের জাতের সম্মান দিকে জানে না তারা সভ্য জাতি হতে পারে না। খুন, ধর্ষণ, নির্যাতনসহ সব ধরণের অপরাধরোধে সবার ভূমিকা থাকা চাই। আইন দিয়ে আমরা ধর্ষণ প্রতিরোধ করব।

তিনি বলেন, বিকৃত মানসিকতার লোকদের ছাড় দেয়া হবে না। নতুন থানার পুলিশ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে কক্সবাজারে। সেবার নামে কোন পুলিশ সদস্য অবৈধ সুবিধা নিতে পারবে না। পুলিশের সেবা ঘরেঘরে পৌঁছিয়ে দেয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে বলেও জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) পংকজ বড়ুয়া বলেন, সমাজের সব মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ।

ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন,
শুধু আইন দিয়ে নয়, সামাজিক সচেতনতা বাড়ানের মাধ্যমে অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব। মাধ্যম ছাড়াই সেবা দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশের সেবা নিতে কোন নেতা দরকার হবে না। সদর মডেল থানা হবে কার্যকর
জনবান্ধন থানা।

এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে অপরাধীদের প্রকৃতি, বিচরণ, অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মুকুল। অপরাধ দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসাও করেন তিনি।

শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন কক্সবাজার বদর মোকাম জামে মসজিদের সহকারী ইমাম ক্বারি মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের থানার পক্ষ থেকে এএসআই সুমন দাস, সেবা প্রার্থীদের পক্ষ থেকে আনজুমান আরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.