নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশে ধর্ষণ, অত্যাচার, অবিচারের সঙ্গে যুক্তরা সরকারের আশ্রয় প্রশ্রয় পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে তারা আরও বেশি অপকর্ম করতে উৎসাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে যে পরিস্থিতিগুলো চলছে, এই পরিস্থিতি সভ্য সমাজের নয়। এটা সম্পূর্ণ একটি অসভ্য সমাজে পরিণত হয়েছে। যে সমাজে কোন নৈতিকতা নেই, যে সমাজে কোন বিচার নেই, যে সমাজে কোন আইনের স্বাধীনতা নেই, আজকে আমরা সেই সমাজে পরিণত হয়েছি। এই অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী আজকের আওয়ামী লীগ সরকার।
‘তারা এই সমাজে ভয়ঙ্কর নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সারাদেশে যারা ধর্ষণ, অত্যাচার, অবিচারের সাথে যুক্ত রয়েছে তারা এই সরকারের আশ্রয় প্রশ্রয় পাচ্ছে এবং এ কারণেই তারা আরো বেশি অপকর্ম করতে উৎসাহিত হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীন দেশটাকে একটা ভয়ঙ্কর অসভ্য সমাজে পরিণত করেছে এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নারী, শিশু, প্রতিবন্ধীসহ কেউ নিরাপদে নেই- নেই নৈতিকতা। সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে ক্ষমতাসীনরা ধর্ষণ, নির্যাতন ও লুটপাটে মেতে উঠেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, যখন কোনো সরকার জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে ক্ষমতায় আসে তখন জনগণের প্রতি তাদের দায় থাকে না। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্রের সব সংস্থাকে ভেঙে দিয়েছে। অপরাধীদের বিচার না করে তারা প্রশ্রয় দিচ্ছে, এতে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হচ্ছে। তারা একের পর এক অপরাধ সংঘটিত করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার অপকর্ম করবে— এটার প্রতিবাদও করা যাবে না। সরকার গণমাধ্যম, রাজনীতিববিদসহ সব শ্রেণির বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে। ন্যূনতম বেঁচে থাকার অধিকার নেই। সময় এসেছে প্রতিবাদ করার, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আবার ফিরিয়ে এনে প্রতিরোধ করার।
সরকার এখন কৌশলে ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণ করছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ গণমাধ্যমে একটা খবর এসেছে, উচ্চ মাধ্যমিকে যারা পরীক্ষা দিচ্ছে বা যারা স্কুলে পড়ছে এ নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে সার্কুলার দেওয়া হয়েছে। সার্কুলারে এমনটা লিখেছে যে, শিক্ষার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনও ধরনের বক্তব্য দিতে পারবে না যেখানে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। এর থেকে বোঝা যায় ছাত্রদের, কিশোরদের, তরুণদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সরকার। শুধু তাই নয়, আজ আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা, রাজনীতিবিদেরা এবং যারা আইন পেশায় আছেন তারা তাদের মত প্রকাশ করতে পারছেন না।’
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিনসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.