নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারি কাজে বাধা, বনভূমি দখল, ভূমিদস্যুতাসহ একাধিক মামলার আসামি নাসির উদ্দিনকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার হাসপাতাল সড়ক থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নাসির উদ্দিন কক্সবাজার শহরের কলাতলী আদর্শ গ্রাম এলাকার মৃত জাকির আলমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বাহিনী লালন ও চাঁদাবাজিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে। চেক প্রতারণার মামলায় প্রায় চারমাস কারাভোগের পর সম্প্রতি বের হন তিনি।
গত ২৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সিরাজুল হকসহ ৬ জনকে মারধরে আহত করার ঘটনায় সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি ছিলেন নাসির উদ্দিন। এ মামলায় নাসির উদ্দিন ছাড়া আরো ৭ জনকে আসামি করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই ইন্দ্রজিৎ বর্মন মামলাটি তদন্ত করছেন।
মামলার বাদী বেলায়েত হোসেন জানান, গত ২৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে তার বসতভিটার জমি দখল করতে গিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বয়োবৃদ্ধ পিতাসহ অন্তত ৬ জনকে জখম করে। বেপরোয়া হামলায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে জানান, মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি হিসেবে নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, কলাতলী, চন্দ্রিমা, আদর্শ গ্রামসহ আশপাশের এলাকার মানুষ নাসিরের হাতে জিম্মি। সে চিহ্নিত বখাটে, সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন লালন করে। প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় থাকার কারণে নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খোলতে সাহস পায় না।
জানা গেছে, ২০ লাখ টাকা উৎকোচ না দেওয়ায় ইয়াবা ব্যবসায়ী হাসানকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বক্তব্য দিয়েছিলো নাসির। অথচ তার বিরুদ্ধেও রয়েছে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ। নানা বিতর্ক জন্ম দেয়া এই ব্যক্তিকে দীর্ঘ দিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.