দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দাবীতে মানববন্ধন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কক্সবাজার থেকে দ্রুত সকল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও কক্সবাজারে ছড়িয়ে থাকা সকল পুরাতন রোহিঙ্গাদের তালিকা করে তাদের বাংলাদেশী সকল সনদ বাতিল করার দাবীতে মানববন্ধন সমাবেশ করেছে কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটি।

২৭ আগষ্ট (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১ টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির বক্তারা বলেন, ব্যাপক ভাবে রোহিঙ্গা আগমনের ৭ বছর পূর্ন হয়েছে। এর মধ্যে ২ বার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্দ্যোগ নেওয়া হলেও নানামুখি ষড়যন্ত্রে তা সফলতার মুখ দেখেনি। এতে স্থানীয়রা হতাশ এবং ক্ষোব্ধ। আর রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে দীর্ঘমিয়াদী থাকার সুযোগে মাদক ব্যবসা, অপহরণ বানিজ্য, অস্ত্র ব্যবসা থেকে শুরু করে গুম খুনের মত বড় অপরাধে জড়াচ্ছে।

এতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সুনাম ক্ষুন্য হচ্ছে পাশাপাশি স্থানীয় নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া গত ২০/২৫ বছর ধরে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজার জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এবং পার্শবর্তী জেলাতে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব সংগ্রহ করে স্থায়ী হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজার শহরের খাসজমি দখল করে আবার অনেকে রেজিস্ট্রি জমি কিনে বসাবাস করছে। অনেক রোহিঙ্গা স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়াচ্ছে, আবার অনেকে বিভিন্ন পেশায় ঢুকে স্থানীয়দের বঞ্চিত করছে। তাই দ্রুত ছড়িয়ে থাকা সকল রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরি করে সবার বাংলাদেশী নাগরিকত্ব বাতিল করণ সহ ক্যাম্পে থাকা সকল রোহিঙ্গাদের কে তাদের নিজ দেশ মিয়ামনারে ফেরত পাঠানোর উদ্দ্যোগ নিতে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানান।

উক্ত মানববন্ধন সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান। এতে বক্তব্য রাখেন রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির উপদেস্টা এডভোকেট আবু হায়দার ওসমানী, এডভোকেট দীপকং বড়ুয়া পিন্টু, কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক বলরাম দাশ অনুপম, মাস্টার ওমর ফারুক, ঈদগাও সুজন সভাপতি মনজুর আলম,টেকপাড়ার সমাজ সেবক মামুন,ছাত্রনেতা ওয়াসিম,সাংবাদিক জসিম উদ্দিন প্রমুখ। মানববন্ধনে কয়েক শত স্থানীয় নাগরিকরা অংশ নেয়।

মন্তব্য করুন

আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্র রিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোন মন্তব্য বা বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোন ধরনের আপত্তিকর মন্তব্য বা বক্তব্য সংশোধনের ক্ষমতা রাখেন।