মোজাম্মলে হক, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী):
সরকার ঘোষিত র্সবাত্মক লকডাউনের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ। তবে ফেরিতে করে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্য বিধিও সামাজি দুরুত্ব উপেক্ষা করা হচ্ছে। একজন আরেক জনের গা–ঘেষা ঘেষি করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। তারা কোন ভাবেই স্বাস্থ্য বিধি বা সামাজকি দূরত্ব মানছে না।
জানাগেছে , লকডাউনের শুরুতে সীমিত ভাবে ফেরি চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। তখন বলা হয়েছিলো সীমতি আকারে শুধু জরুরি ভাবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও রাষ্ট্রীয় কাজের জন্য ছোট ফেরি চলাচল করবে। এ ছাড়া রাতে পণ্যবাহী যানবাহন ফেরিতে পারাপার হবে। তবে গত কয়কেদনি ধরে দখো যাচ্ছে পুরোদমে ফেরি চলাচল করছে।
বৃহপ্রতবিার দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ছোট রড় সব ধরনেরফেরি চলাচল করছে। এই নৌরুটে পারা পাররে এক মাত্র মাধ্যম হচ্ছে ফেরি। যানবাহনের সঙ্গে সাধারণ যাত্রীরাও ফেরিতে করে নদী পাড়ি দিচ্ছেন। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে পাটুরিয়া থেকে আসা হাসনা হেনা নামক একটি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি দৌলতদিয়া ৩ নম্বর ফেরি ঘাটে ভেড়ে। সে সময় গাদাগাদি করে যাত্রীদের নামতে দেখা যায়। সাধারণ পণ্যবাহী ও অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেল আরোহী ও সাধারণ যাত্রীরা ফেরি থেকে নামছেন। তারা কোন রকম সামাজকি দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মানছে না ।
ঢাকায় একটি ইন্টারনেট প্রতষ্ঠিানে কাজ করনে চুড়াডাঙ্গার জসীম মোল্লা বলনে, গাড়ি ভাড়া একটু বেশি কি করার আছে ।বাড়ীতে মা অসুস্থ্য থাকায় জরুরি ভাবে পরিবারসহ সকালে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি। বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে পাটুরয়িা ঘাট র্পযন্ত এসে পৌঁছান। ঘাটে থাকা হাসনা হেনা ছোট ফেরিতে তিনি উঠে পড়েন। তাঁর সঙ্গে থাকা তার স্ত্রী দুই ছেলে ও মেয়ে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন।তিনি আরো বলনে সরকার লকডাউনের মধ্যে র্অধেক সংখ্যক যাত্রী বহনের কথা বলে ভাড়া বাড়িয়েছে ৬০ শতাংশ। অথচ এই সুযোগে ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ আদায় করা হচ্ছ।স্বাস্থ্যবিধি মোটেও মানা হচ্ছে না। বরং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
আকলিমা বেগম বলনে,আমি ঢাকায় একটি মেচে রাধুনীর কাজ করি হঠাৎ করে আমার একটি মেয়ের বিবাহ সম্বধনিয়ে বাড়ীতে লোকজন আসবে সে জন্য আমি ঢাকা থেকে বাড়ীর উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি । কখনো মাহিন্দ কখনো অটোরিকশা করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পাটুরিয়া পৌঁছাই ঘাটে থাকা ছোট ফেরি হাসনা হেনাতে গাদাগাদি করে নদী পার হয়ে দৌলতদিয়া আসি কিছুই করার নেই বাড়ীতে যেতে হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি)দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, র্বতমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১৬টি ফেরি চলছে। পণ্যবাহীসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের সঙ্গে যাত্রীরা ছুটছেন। বৃহপ্রতিবার হওয়ায় অনকেই বাড়ি যাচ্ছনে। এতে করে ফেরিতে যাত্রী চাপ বাড়ছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.