মোজাম্মেল হক, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
দক্ষিণ বঙ্গের কর্মজীবী মানুষ তাদের স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়া এসে ফেরীতে নদীপার হয়ে ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় ফিরতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ মে) ১১ টা থেকেই শত শত যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে প্রচন্ড গরমে দৌলতদিয়া ফেরী ঘটে এসে আবার অতিরিক্তি ভাড়া দিয়ে গাদাগাদি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেরীতে করে নদী পার হচ্ছে শত শত ঢাকা মুখী যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্য বিধির কোন বালাই নাই।
সেই সাথে পার করা হচ্ছে পন্যবাহী ট্রাক জরুরী সেবার এ্যাম্বলেন্স, ব্যাক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল । লকডাউনের কারনে দুরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় চরম গরমে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শতশত ঢাকা মুখী যাত্রীদের। তাদের গন্তব্যে স্থানে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সে কারনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যারযার গন্তব্য স্থানে ফিরছেন তারা।
মাগুরা থেক আগত ঢাকা কর্মস্থল মুখী মো.সিদ্দিক বলেন, এই গরমে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মাগুরা থেকে ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাটে আসি । ফেরীতে করে নদী পার হতে জন প্রতি ২৫ টাকা টিকিট নেওয়া হচ্ছে জন প্রতি ৩০ টাকা করে। কিছুই করার নেই কারন আজই আমার ঢাকায় যেতে হবে জরুরী কাজের জন্য।
তাই করোনার সংক্রমনের ঝুকি মাথায় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি।
পাংশা থেকে আগত ঢাকা মুখী যাত্রী পারভীন আক্তার বলেন, আমি যে বাসায় বুয়ার কাজ করি সেই বাসার মালিক আমাকে ফোন দিয়ে ছিলো ঢাকার আসার জন্য। তাই আমি সকালে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি। প্রচন্ড গরমে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঢাকা যেতে হচ্ছে আমার। আজ যদি ঢাকা না যাই তাহলে তারা আমার কাজে রাখবে না। তখন আমি কি করে খাবো। সে কারনে আমি করোনা ভাইরাস কে ভয় পাচ্ছি না। আজই ঢাকায় যেতেই হবে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক ফিরোজ খান বলেন, ঘাটে ঢাকা মুখী যাত্রীদের প্রচন্ড চাপ রয়েছে তবে ছোট বড় মিলে ১৫ টি ফেরী চলাচল করছে। সেই সঙ্গে পন্যবাহী ট্রাক জরুরী সেবার এ্যম্বলেন্স সহ যাত্রীদের সঙ্গে পারাপার করা হচ্ছে । দৌলতদিয়া প্রান্তে যাত্রী ও ছোট যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে
৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৫:৪৮
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.