দেশে করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু, শনাক্তে রেকর্ড

মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৮৯৫ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৯৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ওয়ান নিউজঃ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ১৮১ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৮৯৫ জনে। তাদের মধ্যে ৮ হাজার ৯৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৮ জন। এটিই দেশে করোনায় এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের ঘটনা। এর আগে গত বছরের ২ জুলাই দেশে করোনায় চার হাজার ১৯ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এতদিন সেটিই ছিল একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।

গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর করোনা মৃত্যু হয়েছিল ৪৭ জনের। আর ১৫ সেপ্টেম্বর একদিনে মারা যান ৪৩ জন। এর আগে গত বছরের ২ জুলাই করোনায় সংক্রমিত ৪ হাজার ১৯ জন রোগী শনাক্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল।

সোমবার (২৯ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৭৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ১৮ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২২৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২০টি, জিন-এক্সপার্ট ৩১টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭৩টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৮ হাজার ৬৬৮টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ১৯৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৬ লাখ ১৭ হাজার ২৫টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৫ জনের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৪ জন, বাড়িতে এক জন রয়েছেন।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.