আরিফুল হাসান
কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আবু নাঈম বলেছেন কক্সবাজার জেলা হচ্ছে অন্য জেলা থেকে ভিন্ন। যেহেতু এখানে প্রায় ১১/১২ লক্ষ রোহিঙ্গাদের অবস্থান। তাই আমাদের পাসপোর্ট দিতে বেশি সচেতনতা অবলম্বন করতে হয়।কক্সবাজার এ কাজ করার সময় আমার অনেক ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা হয়েছে। যেমন স্থানীয় ও রোহিঙ্গা নির্ধারণ করা।যদিও পুলিশ ভেরিফাই করার পরও।আগে কি হয়েছে জানি না আমি এই অফিসে আসার পর চেষ্টা করি যতসম্ভব দুর্নীতি মুক্ত ভাবে পাসপোর্ট এর কাজ সম্পন্ন করতে ও রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট না দিতে।এই কাজ আমার একার করতে কষ্ট হয়। এরপরও স্থানীয় জনসাধারণ সচেতন ও সবাই মিলে সহযোগিতা করলে আশা করি রোহিঙ্গারা কোন দিন পাসপোর্ট পাবে না।রোহিঙ্গারা এখন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতেছে। তাই আমারাও আরো সচেতনতা অবলম্বন করি যাথে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দেয়া না হয়।যদিও রোহিঙ্গারা পাসপোর্ট পেয়ে থাকে তাতে পাসপোর্ট অফিসের ব্যার্থতা থাকে ২০% আর পুলিশের থাকে ৮০%।আমি চাই আমার বাউন্ডারির ভিতরে যাথে কোন ভাবে দুর্নীতি স্পর্শ করতে না পারে।গতকাল তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে। ওই কর্মশালায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সভাপতি আবু তাহের। তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন কৌশল ও কিভাবে ভাল সাংবাদিক হওয়া যায় উহার উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন।এতে আরো উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আই কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সরওয়ার আজম মানিক।সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার কো-অর্ডিনেটর তৌফিকুল ইসলাম লিপু উপস্থাপনায় ছিলেন।এতে কক্সবাজার এর বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এর ৪৫ জন ছাত্র ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবারের মতই এবার ও বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামের মিলনায়তনে উক্ত সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।যেটি জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত চলবে।সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ও শনিবার। দিটুডে নিউজ মিডিয়া হাউজ এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে প্রথমবারের মত কক্সবাজার থেকে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.