আলীম উদ্দিন
শেখ হাসিনার উদ্যোগ,ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জীবনমান উন্নত করাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশণের মূল লক্ষ্য অর্জনে পল্লী বিদ্যুৎ সেক্টরে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দালাল চক্র। সরকার সারাদেশকে ১০০% বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে যে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন তার সুফল পেতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন ককসবাজার সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা।
বর্তমানে কক্সবাজার সদর উপজেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে পল্লী বিদ্যুৎতের গ্রাহকসেবা দালাল ছাড়া পাওয়া দুঃসাধ্যের ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে, এক প্রকার দালাল শ্রেনির লোক সমিতির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে গিলে খাচ্ছে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। সনাতন বিদ্যুৎ সংযোগ পদ্ধতিতে বিদ্যমান সমস্যা সমূহ কে হ্রাস করে গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করন, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য দূরীকরণ এবং অর্থের সাশ্রয় করে সন্তোষজনক গ্রাহক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আরইবি’র আইসিটি পরিদপ্তর”পল্লী বিদ্যুৎ অনলাইন সংযোগ সিস্টেম পরিবর্তন করেও সুফল পাচ্ছে না বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সচেতনতার অভাব এবং সহজ সরল হওয়াই অসাধু দালাল চক্র কৌশলে তাদের জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা আদায়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সেবায় বিড়ম্বনা ও হয়রানি করছেন প্রতিনিয়ত। কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা,খুরুশকুল,পিএমখালী ইউনিয়নে বিদ্যুৎ পরিচালিত হয় কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের হেড অফিস থেকে।লাগোয়া এই তিন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দালালেরা গড়ে তুলেছে সক্রিয় সিন্ডিকেট,যাদের রয়েছে গ্রাম পর্যায় থেকে সমিতির অফিস পর্যন্ত যোগাযোগ।
এই বিষয়ে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম জনাব তপন কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর,তাই ককসবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে দালাল মুক্ত করতে সমিতি জনসচেতনতা মূলক প্রচার প্রচারণা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন,কিন্তু গ্রাহক সচেতন না হওয়ার কারনে দালালেরা এই সুযোগ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। এদিকে এতদঞ্চলের স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা মনে করেন,বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় লালিত দালালচক্র,তাই সর্বত্র জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বনের মাধ্যমেই ককসবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে দালালমুক্ত করা সম্ভব।
২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:০৯
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.