তুরস্কে হামলা করলে কফিনে ভরে ফেরত পাঠাব
ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ মুসলিমবিরোধী কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ তুরস্কে গেলে তাদেরকে ‘কফিনে ভরে’ ফেরত পাঠানো হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম দ্য হারিয়েট ওয়েবসাইট জানায়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করে এরদোয়ান বলেছেন কেউ তুর্কি, মুসলিম ও সব নির্যাতিতদের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে তুরস্ক প্রয়োজনে আবারও ‘ইতিহাস লিখবে’।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু’টি মসজিদে হামলার প্রতিক্রিয়ায় এরদোয়ান প্রথম বিশ্বযুদ্ধের গ্যালিপলি অভিযানের উদ্ধৃতি দেন। ওই যুদ্ধে ব্রিটিশ ও ফরাসীরা তৎকালীন অটোমান সাম্রাজ্যের গ্যালিপলি প্রণালী দখলের চেষ্টায় প্রবল অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়। মিত্রবাহিনীতে ব্রিটিশ সৈন্যদলের আওতায় অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সৈন্যরাও ছিল।
গ্যালিপলিতে মিত্রবাহিনী ও অটোমান সাম্রাজ্য দুই পক্ষেরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই সংঘর্ষের পর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার আগে তাদের স্বতন্ত্র অস্তিত্বের বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠে।
নিউজিল্যান্ড ও পশ্চিমা দেশগুলোকে উদ্দেশ্য করে এরদোয়ান বলেন, ‘আপনাদের দাদারা এসেছিলেন, এবং তাদের কেউ কেউ কফিনে করে ফেরত গেছে। দাদাদের মতোই আপনারা এলে, আপনাদেরকেও একইভাবে ফেরত পাঠানো হবে,’ বলেন তিনি।
তুরস্কে আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন এরদোয়ান। মিত্রবাহিনীকে পরাজিত করার ঘটনার স্মরণে গ্যালিপলির কাছেই আয়োজিত একটি সভায় সোমবার তিনি বলেন, ‘মুসলিমদের শত্রুরা দেখিয়েছে তারা আমাদের ঘৃণার চোখেই দেখে।’
‘ওরা ১৬,৫০০ কিলোমিটার দূরে নিউজিল্যান্ড থেকে বার্তা দিয়ে আমাদের পরীক্ষা করছে। এটা কোনও পৃথক হামলা নয়, এটা সংঘবদ্ধ,’ বলেন এরদোয়ান।
মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় অভিযুক্ত অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন টারান্ট হামলার আগে কেন দুই বার তুরস্ক ভ্রমণ করেছিল সে বিষয়ে তিনি তদন্ত শুরু করেছেন।
হামলাকারীর ইশতেহারে তুরস্ক ও এর মুসলিম জনগোষ্ঠীর উল্লেখ থাকায় এরদোয়ান এই হামলাকে তুরস্কের জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছেন।
গ্যালিপলির যুদ্ধে অংশ নেয়া অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সৈন্যদের স্মরণে অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্ড নিউজিল্যান্ড আর্মড কোর বা আনজাক দিবসে এই দুই দেশের মানুষ গ্যালিপলিতে যান। আর মাত্র মাস খানেক পর ২৫ এপ্রিল আসছে আনজাক দিবস।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.