ডেস্ক নিউজ:
সাতকানিয়ায় ছাত্রলীগ নেতার এলোপাতাড়ি পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক সেনা সদস্য। আহত সেনা সদস্যের নাম মো. ফোরকান উদ্দিন (২২)।
তিনি উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড দয়ার পাড়া এলাকার মৃত হাফেজ আবদুল মজিদের ছেলে। আহত সেনা সদস্য ফোরকান বর্তমানে যশোর ক্যান্টনমেন্টে ১৭-বীর ইউনিটে কর্মরত। তিনি সাতকানিয়ায় নিজ বাড়িতে ছুটি যাপন করছিলেন।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার সময় সোনাকানিয়া বোর্ড অফিস এলাকার দুলা মিয়ার কুলিং কর্নারে হামলার শিকার হন তিনি। এ সময় সেনা সদস্য ফোরকানকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরো ৩ জন আহত হন।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অপরদিকে গুরুতর আহত সেনা সদস্যের মাথায় ৯টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে সেনা সদস্য ফোরকান উদ্দিন কুলিং কর্ণারে বসে টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখছিলেন। এ সময়
এলাকার দয়াল পাড়া ও তাঁতী পাড়া কিছু উঠতি বয়সের ছেলেরা পিকনিকের আয়োজন করে। পিননিকের চাঁদা কম দেয়া নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিগন্ডা চলছিল। সেনা সদস্য ফোরকান তাদের ডেকে শোর চিৎকার না করে দু’পক্ষ বসে মিটমাট করা জন্য অনুরোধ করেন। বিষয়টি উঠতি বয়সের ছেলেরা ভালোভাবে না নিয়ে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি এসকে শামীমকে অবহিত করে। বিষয়টি শামীমের কানে গেলে শামীম মোটর বাইকযোগে ১০/১২ জনকে সাথে কুলিং কর্ণারে এসে কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই তুই এখানে কে? এ কথা বলে সেনা সদস্য ফোরকানকে লোহার পাত দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জাহেদুল ইসলাম (২২), মুবিনুল ইসলাম (২৭) ও মো. সজল আহত হন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত সোনাকানিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি এসকে শামীম বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি । আমি এ ঘটনার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নই। আমার নাম কেন এখানে আসছে আমি বুঝতে পারছি না।
যোগাযোগ করা হলে সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একটা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফোরকান নামের এক সেনা সদস্য মারধরের মিকার হন। এ বিষয়ে এখানো থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। -সিভয়েস।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.