তিন বাংলাদেশিসহ ১১৭ শান্তিরক্ষীকে ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’ সম্মাননা
ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত তিন বাংলাদেশিসহ ৪৩ দেশের ১১৭ জন শান্তিরক্ষীকে সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’সম্মাননা দিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মালি মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় ২০১৬ সালের ১৫ মে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল মোতাহের হোসেন ও মো. সামিদুল ইসলাম নিহত হন। ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর একই মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক মো. আবুল বাসার।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা মেডেল গ্রহণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদসহ জাতিসংঘে কর্মরত বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিভিন্ন সময় শান্তিরক্ষী মিশনে জীবনদানকারী সামরিক ও বেসামরিক কর্মীদের বিদেহী আত্মার স্মরণে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জাতিসংঘের মহাসচির গুতেরেস। জাতিসংঘ সদর দফতরের উত্তর লনে অবস্থিত পিসকিপিং মেমোরিয়াল সাইটে এই পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সদস্য রাষ্ট্রসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনৈতিক, সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আজ যাদের আমরা সম্মান জানালাম তারা পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষগুলোকে রক্ষা এবং ওইসব দেশকে সংঘাত থেকে শান্তিতে উত্তরণের মতো কঠিন কাজে সহযোগিতা করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন’।
তিনি বিশ্বশান্তির জন্য জীবনদানকারী শান্তিরক্ষী কর্মীদের সর্বোচ্চ অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। এর আগে আত্মদানকারী শান্তিরক্ষীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ একটি অন্যতম বৃহৎ শান্তিরক্ষী সরবরাহকারী দেশ। ১৯৮৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় বাংলাদেশের ১৩৩ জন শান্তিরক্ষী মৃত্যুবরণ করেছেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.