তামিম-সাকিবদের টানা দ্বিতীয় হার
ওয়ান নিউজ ক্রীড়া ডেক্সঃ তামিম ইকবালের দায়িত্ব ছিল দলকে চমৎকার একটা শুরু এনে দেওয়া। পারেননি। এরপর দ্রুত উইকেট পড়লে সাকিব আল হাসানের ওপর ভার, দুর্দান্ত কিছু করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যাওয়া। ব্যর্থ তিনিও। শহীদ আফ্রিদি ও অধিনায়ক ড্যারেন স্যমি মিলে ৭০ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন। কিন্তু ফিনিশিং দিতে পারেন না তারাও। জিততে জিততে হারতে হয় এই সম্মিলিত ব্যর্থতায়। এক বল বাকি থাকতে। করাচি কিংস রোববার রাতে পিএসএলে ৯ রানে হারাল সাকিবদের পেশোয়ার জালমিকে। টানা দুই ম্যাচে হারলেন তামিমরা।
শারজার ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭৪ রান তোলে করাচি। শোয়েব মালিক ২৭ বলে ৬১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ম্যাচের সেরা তিনি। ২ ওভার বল করে ১৪ রানে সাকিব নেন ১ উইকেট। জবাবে, ১৯.৫ ওভারে ১৬৫ রানে অল আউট পেশোয়ার। তামিম ১৫ রান করে ফিরেছেন। সাকিব চাপের মধ্যে ১৮ রান করেছেন। জিততে পারেনি পেশোয়ার। ৬ ম্যাচের তিনটিতে হেরেও পেশোয়ার পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে। ৫ ম্যাচে মাত্র দ্বিতীয় জয়ে গেইল-সাঙ্গাকারা-শোয়েবদের করাচি শেষ জায়গা থেকে উঠে এলো চতুর্থ স্থানে।
এই ম্যাচে ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারাল পেশোয়ার। তারপর লড়াই আর ঝড়ের মিশেলে স্যামি ও আফ্রিদি দলকে ১৩৯ পর্যন্ত নিয়ে যান। স্যামি ২৬ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন। আফ্রিদি হাল ধরে রাখেন। শেষ ওভারে জিততে দরকার ১৮ রান। আফ্রিদি স্ট্রাইকে। গেইল পা দিয়ে ফিল্ডিং করে ২ রান দেন। তরুণ লেগ স্পিনার পরের বলটি ডট দেন। তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান আফ্রিদি। তখনো ম্যাচে আছে পেশোয়ার। পরের বল আকাশে তোলেন আফ্রিদি। ক্যাচটা ধরে ফেলেন গেইল! ২৮ বলে ৫৪ রান করা আফ্রিদি জয়টা বুঝি ছেড়ে এলেন মাঠে!
২ বলে আর ১০ রান দরকার। উইকেট আছে একটি। উসামার বলে ক্যাচ তোলেন হাসান আলি। অল আউট পেশোয়ার। হারের শঙ্কায় পড়েও স্নায়ু ধরে রেখে জয় করাচির।
এর আগে হেরে করাচি ব্যাট করতে নামল। তাদের দলে কুমার সাঙ্গাকারা, ক্রিস গেইল, রবি বোপারা, কাইরন পোলার্ডরা। পাকিস্তানি স্টার ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক ও বাবর আযমও করাচিতে। অধিনায়ক সাঙ্গাকারার সাথে সেনসেশনাল বাবর ৭২ রানের উদ্বোধনী জুটি দিলেন দলকে। তারপরই ১৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেটের পতন। জালমি নেচে ওঠে।
সাকিব শিকারের শুরুটা করেন ৩৮ বলে ৪৬ করা বাবরকে তুলে নিয়ে। পর পর দুই ওভারে ইফতেখার আহমেদ শিকার করেন সাঙ্গাকারা (২৮) ও গেইলকে। ক্যারিবিয়ান ঝড় গেইল ৯ বলে ১১ করে ফিরেছেন এই ম্যাচেও বড় রান করতে না পারার হতাশা নিয়ে।
এই তিন উইকেটের পতনের পর অবশ্য আরো হতাশা জালমির। বোপারা ও শোয়েব খুব মারলেন ইমরান জুনিয়রকে। বোপারা ২০ বলে ৩০ রানে ইমরানেরই শিকার। কিন্তু ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে ফিফটি তুলে নেন শোয়েব মালিক। ২৭ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত তিনি। মেরেছেন ৩টি বিশাল ছক্কা ও ৪টি বাউন্ডারি। শোয়েবের ব্যাটে চড়েই এবারের আসরে দলগত সর্বোচ্চ রানটা পেয়েছে করাচি।
এরপর ৩৩ রানের মধ্যে তামিম ও দুই ব্যাটসম্যান ফেরেন। সাকিব নামেন এই ৩ উইকেট পড়লেই। কিন্তু পতনের স্রোতে ভেসে যান তিনিও। আফ্রিদি-স্যামিরা উত্তেজনা এনেছিলেন। শেষ ওভার পর্যন্ত তা ছিলও বটে। কিন্তু শেষ হাসিটা জালমির নয়, করাচির।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.