তবু মালিঙ্গাই বাংলাদেশের বড় আতঙ্কের নাম
ওয়ান নিউজ ক্রীড়া ডেক্সঃ চোটের কাছে হার মেনে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন সেই ২০১০ সালে। সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেললেও সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৫ সালের নভেম্বরে। চোটের কারণে লাসিথ মালিঙ্গা এরপর আর ওয়ানডে দলে ফিরতেই পারেননি। প্রায় এক বছর দূরে ছিলেন আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি থেকেও। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ টি-টুয়েন্টিতে মালিঙ্গা এসেছিলেন শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়ক হয়ে। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচটাই শুধু খেলতে পেরেছিলেন। ৪ ওভারে ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়েও রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। কিন্তু চোটের কারণে সেই যে দল থেকে ছিটকে পড়েন, আর ফিরতেই পারছিলেন না মালিঙ্গা। অবশেষে গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ দিয়ে দলে ফিরেন। আর ফিরেই মালিঙ্গা বুঝিয়ে দেন, চোট দীর্ঘ দিন বাইরে রাখলেও তার বোলিংয়ের ধার এতোটুকু কমেনি।
অস্ট্রেলিয়ায় ৩ ম্যাচে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতাতে রাখেন বড় ভূমিকা। প্রতি ম্যাচেই ২টি করে উইকেট নিয়ে বুঝিয়ে দেন নিজের ধারাবাহিকতা। কিন্তু এরপরই আবার হালকা চোট। ফল, আশা জাগিয়েও বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের মাটির ওয়ানডে সিরিজে খেলতে পারেননি। কিন্তু বাংলাদেশিদের ভয়ের কারণ হলো, চোট কাটিয়ে লাসিথ মালিঙ্গা ঠিকই ফিরেছেন শ্রীলঙ্কার টি-টুয়েন্টি দলে। মালিঙ্গার দলে ফেরা মানে একাদশে জায়গা পাওয়াও নিশ্চিত। এটা তাই নিশ্চিত করেই বলা যায় মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচে মালিঙ্গাই হবেন বাংলাদেশের বড় আতঙ্কের কারণ।
এমনিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে খুব বেশি সফল নন মালিঙ্গা। টি-টুয়েন্টিতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলেছেন মালিঙ্গা। তাতে নিয়েছেন ৬ উইকেট। তার ৩টিই এক ম্যাচে। ২০১৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধৃরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মালিঙ্গা ২০ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। বাকি ৩ ম্যাচে নিয়েছেন একটি করে উইকেট। তবে ভয়ের কথা হলো, মালিঙ্গার খেলা ওই ৪ ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ।
এক ভারত বাদে সব দেশের বিপক্ষেই বল হাতে সফল মালিঙ্গা। ভারতের বিপক্ষেই শুধু ম্যাচের চেয়ে উইকেট কম। ৬ ম্যাচে ৩ উইকেট। বাকি সব দেশের বিপক্ষেই সফল। ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ৬৫টি টি-টুয়েন্টি খেলে নিয়েছেন ৮৪ উইকেট। উইকেট প্রতি রান দেওয়ার গড় ১৯.৯৬। স্ট্রাইক রেট আরও বেশি ভয়ঙ্কর, মাত্র ১৬.৪! ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৭.২৯।
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টুয়েন্টি সিরিজেও ইতিহাস গড়তে হলে সবার আগে মালিঙ্গার বিপক্ষে সফল হতে হবে। সর্তক হয়ে মোকাবিলা করতে হবে তাকে। তামিম-সাকিব-মুশফিক-সাব্বিররা পারবেন মালিঙ্গা নামক আতঙ্ক কাটিয়ে ভালো কিছু করতে?
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.