তথ্যমন্ত্রী নির্দেশে ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিলেন পোমরা ছাত্রলীগ

আবুল কালাম, চট্টগ্রাম

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস (কোভিট-১৯) এর দ্বিতীয় লকডাউনে বিপর্যস্ত দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে নিম্নআয়ের মানুষেরা। কৃষকের লাগানো ধান কেটে গড়ে তোলার মত এমন পরিস্থিতি না থাকায় বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আহবানে সাড়া দিয়ে সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে রোজা রেখে কৃষকের ধান ঘরে তুলে দিচ্ছে ছাত্রলীগ। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দিশাহারা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের পশ্চিম হিলাগাজী পাড়া গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলমগীরের আড়াই বিঘা জমির ধান কেটে বাড়িতে তুলে দেয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এম পি এর নির্দেশনায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান খান’র উদ্যােগে ধান কাটার কাজে সহায়তা করছেন উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম শুভ,ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উৎস দাশ,দিদার,রাজু,রিমন,মামুন,এমরান, মাহফুস, সুমন,জিহান প্রমুখ।

দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন সে কারণে খুশি এলাকাবাসী ও কৃষকেরাও।কৃষক আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ শুধু রাজনীতির পাশাপাশি মানুষের উপকারও করে। আজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যেভাবে আমার ধান কেটে দিয়েছে এতে এটাই প্রমানিত হয়েছে ছাত্রলীগ মানব সেবা়সহ দেশের উন্নয়ন কাজেও গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করে। যদি তারা আমার ধান কেটে না দিত তাহলে শ্রমিকের অভাবে হয়তো আমার ধান ঘরে তুলতে পারতাম না। আমি ছাত্রলীগ নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞ ও ধন্যবাদ জানাই। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মহোদয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করি।

ছাত্রলীগ নেতা মুফিজুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে রাঙ্গুনিয়ায় ধান কাটার শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিক না পাওয়ায় নিজ জমির পাকা ধান কাটতে পারছেন না কৃষকেরা। তাই আমাদের নেতা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নির্দেশে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে কৃষকদের পাশে থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দিচ্ছি।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.