ট্রেন শার্শার সড়কের উপর রেখে চোরাচালানী পণ্য উঠানোয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে

ইয়ানূর রহমান : বেনাপোল-খুলনা কমিউটার ট্রেন যত্রতত্র অবৈধ ভাবে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে চোরাচালানী পণ্য উঠানোর ঘটনা নিত্যদিনের চিত্র। সোমবার সকালে ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ছেড়ে এসে নাভারণ সাতক্ষীরা মহাসড়ক আটকিয়ে রাখায় বুরুজ বাগান কেন্দ্রে অনেক এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় আটকা পড়ে ।
এসময় ঘটনা স্থলে শার্শা সদর ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় নাভারণ গেটম্যান সাথে কথা কাটাকাটি হয় । পরবর্তীতে শার্শা উপজেলা বাস্তহারালীগের সভাপতি আবুল হোসেন তাকে প্রশাসনের ভয় দেখান।
স্থানীয়রা জানান, বেনাপোল-খুলনা কমিউটার সকাল ৯টার দিকে খুলনার উদ্দেশ্যে বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি ৯টা ২০/২৫ মিঃ এর সময় নাভারণ রেল স্টেশন ত্যাগ করেন। নাভারণ রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে একটু সামনে এসে নাভারণ- সাতক্ষীরা মহাসড়কের উপর ট্রেনটি থামিয়ে চোরাচালানী পণ্য ট্রেনে উঠাচ্ছিল চোরাকারবারীরা।
এসময় চলতি এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীরা ভ্যান যোগে কেন্দ্রে আসার সময় ট্রেনের জন্য রাস্তায় আটকা পড়ে। দীর্ঘ সময় আটকে থাকার পর পরীক্ষার্থী জেনিথ জাহান অমি, সুরাইয়া খাতুন তুলি, শামিমা ইয়াসমিন ও রেশনি সহ অনেকে ভ্যান থেকে নেমে ট্রেনের পাশ দিয়ে ঘুরে এসে আবারও নতুন করে ভ্যাান উঠে পরীক্ষা কেন্দ্রে যায়। শার্শা সদর আওয়ামীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় শার্শা উপজেলা বাস্তহারালীগের সভাপতি চোরাকারবারীদের গডফাদার আবুল হোসেন তাকে প্রশাসনের ভয় দেখান।
নাভারণ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মন্টু জানান, শার্শা উপজেলা বাস্তহারালীগের সভাপতি সড়কের উপর ট্রেন দাঁড় করিয়ে চোরাচালানী পন্য উঠানোয় ছাত্র/ছাত্রীরা দীর্ঘ সময় রাস্তায় আটকে ছিল। পরে ট্রেনের লোকজন ও চোরাকারবারীদের সাথে এলাকার লোকজনের বাকবিতন্ডা হওয়ায় ট্রেন ছেড়ে দেয়।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.