টেকনাফ থেকে মংডুতে লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবেঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ওয়ান নিউজঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে মিয়ানমারের মংডুতে যাতায়াতে লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জাতীয় চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে মিয়ানমারের মংডু শহরে যাত্রীবাহী লঞ্চ সার্ভিস চালু করা যায় কিনা সেটা আমার চিন্তা করছি। এখন শত শত পর্যটক এক দিনের জন্য আমাদের এখান থেকে অনুমতি নিয়ে মংডু যাচ্ছেন, সে রকম আবার মংডু থেকে আসছেন। সেটা একটা সিস্টেমে আনার জন্য আমরা এখানে লঞ্চ সার্ভিস চালু করতে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ সব জায়গায় যত্রতত্র দিয়ে গেলে চোরাচালানের যে আশঙ্কা থাকে তা যেন বন্ধ হয়। যারা আসবেন তারা আমাদের অথরিটির অর্থাৎ কাস্টমস, বিজিবির সামনে দিয়ে আসবেন। সেইভাবেই যাবেন। সেজন্যই আমার এই ব্যবস্থাটা নিতে যাচ্ছি।’

‘মাদক ব্যবসার সঙ্গে যে সকল প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত আছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রেলওয়ের মাধ্যমে চোরাই পণ্য আসছে, মাঝে মাঝে জব্দ করছি। এটা প্রতিরোধের জন্য রেল পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছি। তারপরও চোরচালান প্রতিরোধে টহল ও মোবাইল কোর্টও বাড়ানো হবে।’

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক লাখ ৮৫ হাজার অভিযান চালিয়ে ৮ হাজার ৬৫০ জনকে আটক করেছে। প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার মালামাল আটক করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সংস্থাওয়ারী চোরাচালান মামলা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৮৩৪টি মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩৩ জন সাজা পেয়েছে।’

সীমান্তে মালামাল স্ক্যানিংয়ে বিভিন্ন সংস্থা সমন্বয় করে কাজ করবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘স্থলবন্দরগুলোতে অত্যধুনিক স্ক্যানার মেশিন বসানোর প্র্রক্রিয়া শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সীমান্তের সব স্থলবন্দরগুলোতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করব।’

‘মাদক সংক্রান্ত মামলা দ্রুত ‍নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাদক ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে তল্লাশী আরও জোরদার করা হবে’ বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.