টেকনাফে ১৯ হাজার ইয়াবাসহ ৩ পাচারকারী আটক
নেজাম উদ্দিন, সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টার
মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা, মোবাইল সেট ও নগদ টাকা জব্দ বাংলাদেশের এখন অতি পরিচিত একটি মাদকের নাম ইয়াবা, এই ইয়াবা প্রতিরোধে সরকার তথা দেশে আইন প্রয়োগকারি সংস্হা কাজ করে যাচ্ছে আন্তরিক ভাবে, রাতদিন পরিশ্রম করছেন সীমান্তে এই মাদক রুখতে সেনা ও বিজিবি জোয়ান রা এরই ধারাবাহিকতাই টেকনাফের হ্নীলা ও নাজিরপাড়া থেকে বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে ৫৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬২৫ টাকা মুল্যের ১৯ হাজার ৫৮৫ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে। দুই অভিযানে ৩ জন ইয়াবা পাচারকারী আটক হয়েছে। সেই সাথে নগদ টাকা, মোবাইল সেট, অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। ইয়াবাসহ আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় পৃথক মামলা দায়ের করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উভয় মামলায় ২ জনকে পলাতক আসামী করা হয়েছে। ১২ জানুয়ারী টেকনাফস্থ ২ বিজিবি অধিনায়কের পক্ষে অতিরিক্ত পরিচালক আবু রাসেল সিদ্দিকী প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানান মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবার একটি বড় চালান টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ সড়ক দিয়ে টেকনাফে যাওয়ার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাজিরপাড়া বিওপির নায়েক সুবেদার মোঃ ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে বিশেষ টহল দল ১১ জানুয়ারী সকাল ৯টা থেকে যানবাহনে তল্লাশী চালাতে থাকেন। এসময় একটি মোটর সাইকেল টহল দলের কাছাকাছি আসার পর টহল দল চেক করে একজন আরোহীর হাতে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ১০ হাজার ৭ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। যার মুল্য ৩০ লক্ষ ২ হাজার ১০০ টাকা। এ অভিযানে সাবরাং দক্ষিণ নয়াপাড়া হাবিল আহমদের পুত্র আবদুল হামিদ (২২) এবং মৃত আলী হোছনের পুত্র ইয়াসিন আরাফাত (২০) কে গ্রেপ্তার এবং মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মতে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত একই গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালামের পুত্র মোঃ গণিকে (২৫) পলাতক আসামী করা হয়েছে। এদিকে একই তারিখে সকাল সোয়া ১১টায় হ্নীলা বিওপির নায়েক মোঃ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশেষ টহল দল হ্নীলা পশ্চিম সিকদারপাড়া সেলিম সিকদারের বাড়ির সামনে সড়কে টহলে যান। এসময় একখানা অটোরিক্সাকে সিগন্যাল দিয়ে থামানোর পর চালক ও আরোহী পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। টহল দল পিছু ধাওয়া করে অটোরিক্সা চালক হ্নীলা ইউনিয়নের জাদীমুরা গ্রামের বাসিন্দা কালা চাঁনের পুত্র মোঃ আয়ুবকে (২৬) আটক করার পর অটোরিক্সার সীটে লুকানো ৯ হাজার ৫৭৮ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। যার মুল্য ২৯ লক্ষ ৪ হাজার ৫২৫ টাকা। এরপর নগদ ১২৫ বাংলাদেশী টাকা, মোবাইল সেট ও অটোরিক্সা জব্দ করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মতে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত নয়াপাড়া মৃত আবদুল হাকিমের পুত্র শাকের উল্লাহকে (৩১) পলাতক আসামী করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ধারায় পৃথক মামলা দায়ের পুর্বক ধৃতদের ইয়াবা, মোটর সাইকেল, অটো রিক্সা, মোবাইল সেট ও নগদ টাকাসহ টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.