টেকনাফের কানজরপাড়া সড়কের বেহাল দশা

জুবাইরুল ইসলাম জুয়েল

দীর্ঘ ২০, বছরে ও সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাগুলো খানাখন্দে ভরা কাদামাটির উপর দিয়ে চলাফেরায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অসংখ্য ছাত্র ছাত্রীদের। এদিকে টেকনাফ উত্তর কানজরপাড়ার ছাত্র ছাত্রী ও কৃষকরা চলাচল করতে গিয়ে প্রায় ১, হাজারের অধিক জনগণ প্রতিনিয়িত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মূলত এই রাস্তা সংস্কার করার কথা ছিল ২০০৫ সালের আগেই, এদিকে কক্সবাজার হয়ে টেকনাফের এল’জি’ই ডি সড়ক পুনরায় নির্মাণের পরপরই উত্তর কানজরপাড়ার মাও: জাফর আহমেদের বাড়ি থেকে শুরু করে প্রায় ১কিলোমিটার সড়ক যেখানে পূর্বের যাতায়াতের কাঁচা রাস্তা পর্যন্ত।এই রাস্তা সংস্কার করার আশ্বাস্ত করেছিলেন প্রায় ১৫ বছরের ও আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী। এই আশ্বাসের প্রহর গুনতে গুনতে ১৫ বছরেও এই সড়কে সংস্কারের কোন দেখা মেলেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মুহসীন চৌধুরী ও জয়নুল আবদিন ও মোঃ হাসান জানান এই রাস্তা দিয়ে নিত্যদিনের মতোই অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী স্কুল মাদ্রাসায় যাতায়াতের সময় কাদামাটিতে পড়ে যায়। যার ফলে ছাত্র ছাত্রীরা নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে যেতে নারাজ হয়।
এতে অব্দি প্রায় ১কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, জরাজীর্ণ রাস্তায় বর্ষার অঝোর বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।এমনকি রাস্তার মাঝখানে ছিঁড়ে গিয়ে এপার ওপার পার হবার সময় পানির স্রোতে শিশুদের ব্যাপক ঝুঁকি ও রয়েছে।এই রাস্তার পিচ, সুরকি, বিভিন্ন কাঁচা গাছের ডাল দিয়ে কোন রকম চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছে স্থানীয়রা।মাঝে মাঝে মানুষ যাতায়াতের সুরক্ষিত গাছের ডাল উঠে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।বৃষ্টি হলেই ওইসব গর্তে পানি আটকে থাকে। এতে ছোট ছোট অটোরিকশা ও টমটম চলাচলের সময় দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। বিশেষ করে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে।এ রাস্তা দিয়ে তাদের চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তা কদমে কদমে গর্ত ও কাদামাটির কারণে রোগীদের বিশেষ অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে।বিশেষ করে কোমর ব্যথা রোগীরা টমটমের উঁচু-নিচু রাস্তার আছাড়ে কোমর ব্যথা হয়ে আরো কঠিন রোগের শিকার হতে হচ্ছে, এমনকি বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের চরম বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় এক পথচারী নারী বলেন, “কয়েকদিন আগেই এই রাস্তা দিয়ে আসার সময় মাত্র ৩মাসের দুধের শিশুসহ পা মুচড়ে যায় শিশুকে বুকে আগলিয়ে কোন রকম রক্ষা পায়।
বর্ষার সময় ছোট ছোট গর্তে পানি জমে থাকে শীতকালে ধুলো উড়ে পরিবেশের ভারসাম্য ব্যাপক আকারে নষ্ট হচ্ছে দূষিত হচ্ছে এলাকা’।
স্থানীয় বাসিন্দারা
জানান, ‘জরাজীর্ণ রাস্তাগুলোর টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রায় এক অংশের ১,শ মিটার টেন্ডার হয়ে ইট বসানো হয়েছে অনেক আগে বাকি অংশ দীর্ঘ ১৫ বছরে ও শুরু হয়নি।
এদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন এই রাস্তার কিছু অংশে ইট বসানো হয়েছিল তবে বাকি অংশের টেন্ডারে’র প্রক্রিয়া চলছে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.