ডেস্ক নিউজ:
মহামারি করোনাভাইরাসের টিকার অগ্রগতির খবর জানিয়েই নিজের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যালবার্ট বোরলা।
গত সোমবার (৯ নভেম্বর) নিজের কাছে থাকা কোম্পানির ৬২ শতাংশ শেয়ার ৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। ওই দিনই ফাইজার ও ইউরোপীয় সংস্থা বায়োএনটেক টিকা নিয়ে সুসংবাদ দেয়। এর পরপরই ফাইজার এর শেয়ারের দাম ১৫ শতাংশ বেড়ে যায়। খবর সিএনএন।
এদিকে, শুধু বোরলা নয়, ফাইজারের আরেক নির্বাহী কর্মকর্তা স্যালি সুসমানও নিজের শেয়ার বিক্রি করেছেন। তিনি ৬ হাজার ৬২২টি শেয়ার বিক্রি করে পেয়েছেন ১৮ লাখ মার্কিন ডলার।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের তথ্য অনুসারে, ফাইজার সিইও অ্যালবার্ট বোরলা শেয়ারপ্রতি ৪১ দশমিক ৯৪ ডলার মূল্যে বিক্রি করেছেন। তার অধীনে ফাইজারের ১ লাখ ৩২ হাজার ৫০৮টি শেয়ার ছিল।
তবে বিধি মেনেই বোরলা ও স্যালি নিজেদের শেয়ার বিক্রি করেছেন বলে দাবি করেছে ফাইজার কর্তৃপক্ষ। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, বোরলার স্টক বিক্রি পরিকল্পনার অংশ ছিল। এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান তার অভ্যন্তরীণ মূল শেয়ারধারীদের এই অনুমোদন দেয়। বোরলার কাছে এখনো কোম্পানির ৮১ হাজার ৮১২টি শেয়ার রয়েছে।
এদিকে, ফাইজারের শেয়ারের মূল্য গেল দুই দিন উঠতি থাকলেও বুধবার ফের দাম কমতে শুরু করেছে। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের তথ্য অনুসারে- টিকার সুসংবাদ ঘোষণার দিনে ফাইজারের শেয়ার মূল্য এক লাফে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এরপর দিন মঙ্গলবার শেয়ারমূল্য ফ্লাট বা স্থিতিশীল ছিল। তবে বুধবার ফাইজারের শেয়ার মূল্য ১ শতাংশেরও বেশি কমেছে।
অপরদিকে, ফাইজারের মতোই বায়োএনটেকের শেয়ারমূল্য সোমবার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। ওই দিন বায়োএনটেকের শেয়ারমূল্য সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। পরদিন মঙ্গলবার তা কিছুটা কমে ৮ শতাংশে নেমে আসে। বুধবার বায়োএনটেকের শেয়ারমূল্যও স্থিতিশীল ছিল।
তবে সমালোচকরা বলছেন- বায়োটেক সংস্থা মর্ডানার পথেই হাটছে ফাইজার। অতি-উৎসাহী হয়ে পরীক্ষার ফলাফলে ইতিবাচক তথ্য দেখিয়ে ব্যবসায়িক ফায়দা হাসিলে মনোযোগী হলে তা নেতিবাচক হয়ে উঠতে পারে। তবে ফাইজার বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট। তাদের শেয়ার বিক্রিতে নিয়মের ব্যত্যয় বা কোন কারসাজি হয়নি বলে দাবি করেছে।
গত সোমবার ফাইজার ও বায়োএনটেকের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোভিড-১৯ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে সক্ষম তাদের টিকা। তারা এখন পর্যন্ত কোনো গুরুতর সুরক্ষা উদ্বেগ খুঁজে পায়নি। ফলে চলতি মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রে টিকার জরুরি ব্যবহার অনুমোদনের প্রত্যাশা করছে সংস্থা দু’টি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.