মোঃ নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজারঃ
পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরের সড়কে নামলেই অবৈধ টমটম আর অদক্ষ্য চালকদের কারণে সবসময় যানজট লেগেই থাকে। এমন কি ট্রাফিক নিয়ম না জানার কারণে অনেক সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা গঠে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনটি আর না হওয়ার জন্য ও টমটম চালকদের সচেতন মূলক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জেলা পুলিশ কক্সবাজার।
আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা ইউএনডিপির সহযোগিতায় ৪ হাজার টমটম (ইজিবাইক) চালককে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে নিরাপদ ট্রাফিক ব্যবস্থা উপহার দিতে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) সকালে কক্সবাজার পুলিশ লাইনস্ এ “টমটম চালকদের জন্য ট্রাফিক নিয়মের উপর ওরিয়েন্টেশন” শিরোনামে সামাজিক নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং ন্যায়বিচারে অ্যাক্সেস বৃদ্ধি করা প্রকল্পের আওতায় ২শত টমটম চালককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
জেলা পুলিশ সুপার মোঃ রহমতুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদের সময় একদিকে অপ্রয়োজনীয় টমটম লাইসেন্স দিয়ে শহরে যানজট বাড়িয়েছে। অপরদিকে ওই সব লাইসেন্স দলীয় নেতাদের মাধ্যমে টমটম চালকদের ঠকানো হয়েছে। ৫ আগষ্টের পর মানুষ নুতন বাংলাদেশ পেয়েছে। এখন ফ্যাসিবাদের অপকর্ম আর নেই। জনগণের অনেক প্রত্যাশা একটি সুন্দর দেশ গড়ার জন্য। টমটম চালকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সুশৃঙ্খল শহর গড়ার জন্য উদোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিবছর দেশবিদেশের লাখো পর্যটক কক্সবাজারে আসেন। এখানকার টমটম চালক, রিক্সা চালক ও ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ থাকলে কক্সবাজারের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে।তাই ডাটাবেজ তৈরীর মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে শহরের সকল চালকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।
কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান বলেন, পৌরসভা ৩ হাজার টমটমের লাইসেন্স দিলেও এখন শহরে টমটম চলাচল করে ৫ হাজারের বেশী। এতে করে শহরে প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি হয়।
সভায় ইউএনডিপির প্রতিনিধি মাসুদ করিম বলেন, পর্যটন শহর কক্সবাজারের চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে ইউএনডিপি সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১২:৫০
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.