সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে গ্রামেগঞ্জে চায়ের দোকান গুলোতে এখন নির্বাচনী কথা ছাড়া অন্য বিষয় তেমন কানে আসেনা। সম্প্রতি কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া গেলে একটি চায়ের দোকানে বসলে স্থানীয় নবীণ ও প্রবীনরা মিলে চুলছেড়া বিশ্লেষণ শুরু করে কে হবে এবারের পরিষদ চেয়ারম্যান । কাকে আমানতের ভোটটি প্রদান করে চেয়ারম্যান বানিয়ে পরিষদে পাঠানো যায়। এমন বেশ কিছু বৈঠকে দুইজন প্রার্থীর কথা উঠে আসে সবসময়। তারা হলেন একজন নৌকা মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, আরেকজন প্রবাস থেকে আসা আলহাজ¦ শফিকুল ইসলাম।তবে শফিকুল ইসলামের দিকে সাধারণ মানুষের ঝুক বেশি লক্ষ করা গেছে।
জানা গেছে,তিনি সারাদিন এলাকার মানুষের সাথে সময় দেন এবং অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান বলে তার জনপ্রিতা দিন দি বেড়ে চলেছে। প্রতিদিন কোননা কোন জায়গায় স্থানীয় মানুষদের সাথে বসে আড্ডা দেওয়া তার যেন স্বভাবে পরিণত হয়েছে।
এদিকে আগামী ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ¦ শফিকুর রহমান (সতন্ত্র) কয়েকশত মোটর সাইকেল ও গাড়িবহরসহ হাজারো জনসমর্থন নিয়ে ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেছে । এতে শফিকের পেছনে জনসমুদ্রে পরিণত হয় মানুষের ঢলে।
মঙ্গলবার(১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু করে এই নির্বাচনী প্রচারনা গভীর রাত পর্যন্ত চলে। চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ¦ শফিকুল ইসলাম খরুলিয়া এলাকায় গেলে হাজারো সমর্থক তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সেখানে তিনি এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। তার সাথে এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রচারণার সময় উৎসুক ভোটাররা প্রচারণায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। এবং হাজার হাজার মানুষ নির্বাচনী এ প্রচারণায় অংশ নেয়।
নির্বাচনী প্রচারনা খরুলিয়া থেকে শুরু করে ঝিলংজা এলাকার কলাতলী, বাংলাবাজার, লিংকরোড়, টার্মিনাল, ঝিরঝির মোর,জানারঘোনাসহ ইউনিয়নের আনাচে কানাচে প্রদক্ষিণ কওে আবার খরুলিয়া বাজাওে গিয়ে শেষ হয়।। শোডাউনে সবাই একই সুরে হাজারো জনতা শফিক ভাই, শফিক ভাই বলে মিছিল করতে থাকে। এবং এলাকার মহিলাদের আলহাজ¦ শফিকুল ইসলামের জন্য সমর্থন ও দোয়া কামনা করেন।
স্থানীয় মিজান জানান, জন্মসনদসহ ইউনিয়নের যাবতীয় কাজে এখন টাকা ছাড়া হয় না। সাধারণ মানুষ বেশ ভোগান্তিতে ছিল। শফিকভাই প্রবাসী মানুষ। তার অগাত সম্পদ রয়েছে। তাকে পরিষদের অর্থ আত্বসাৎ করে খেতে হবে না। তাই আমরা ঝিলংজাবাসি এইবারের নির্বাচনে শফিকভাইকে চেয়ারম্যান হিসাবে চাই।
ঝিলংজা ইউনিয়নের জসিম জানান, দুইবার বর্কমান চেয়ারম্যান টিপু সুলতানকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি। যারফলে আমরা খরুলিয়াবাসি পেয়েছি মাদকের তকমা । তার চেয়াম্যান আমলে এলাকায় মাদক ব্যবসা বেড়েছে। খুনখারাবী বেড়েছে । সমাজে অন্যায় বেড়েই চলেছে। এইবারের নির্বাটনে এমন একজন প্রার্থী আমরা পেয়েছি যারকোন লোভ নেই । যার কোন অর্থ অভাব নেই।তাকে পরিষদের টাকা দিয়ে চলতে হবেনা । তিনি আমাদেও শফিক ভাই।
আমার ঝিলংজাবাসি ভোটের বিপ্লবের মাধ্যমে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে আনবো।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব শফিক জানান, এখনো মনোনয়ন দাখিল করেছি মাত্র । সাধারণ মানুষ আমার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে। এটি মহান আল্লার দান। আমি নির্বাচিত হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবো এই আমার প্রত্যশা। ভোটারদের সুখে দুঃখে পাশে থাকবো ওয়াদা করছি। এছাড়াও দলমত নির্বিশেষে উন্নয়নের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
অপরদিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে আরেকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছে দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান টিপু সুলতান। সাধারণ মানুস মনে করছে তাদেও দুজনের মধ্যে হাড্ডাহাডি প্রতিযোগিতা হলেও জনপ্রিয়তায় শফিক এগিয়ে আছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.