ঝিনাইদহ সদর থানার এ এস আই সাইফুল এবার প্রবাসীর পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে চাঁদা নিলো বিশ হাজার !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর থানার এস আই সাইফুলের বিরুদ্ধে এবার প্রবাসী রন্টুর পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে বিশ হাজার টাকা চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদরের দোগাছি ইউনিয়ন ও দোগাছি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে প্রবাসী মোঃ রন্টু (২৮) চার বছর ধরে সিঙ্গাপুরে চাকুরি করেন। দুই মাসের ছুটিতে রন্টু দেশে বেড়াতে আসেন। ঝিনাইদহের হামদহ বাইপাশ সড়কের পাশে ভাড়া বাসায় রন্টুর স্ত্রী ও রন্টুর বড় ভাইয়ের সাথে একত্রে বসবাস করেন। সিঙ্গাপুরে আরো ভালো চাকরির জন্য রন্টু এক মাস ধরে ঝিনাইদহের হামদহ থেকে ড্রাইভিং ট্রেনিং করছে।
রন্টুর অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ড্রাইভিং ট্রেনিং শেষ করে সে রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার সময় বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পায়ে হেটে রওয়ানা হয়। ঝিনাইদহের লাশকাটা মর্গ এলাকায় পৌছানো মাত্রই ঝিনাইদহ সদর থানার এ এস আই সাইফুল ইসলাম তার সঙ্গিও ফোর্স সহ আমাকে হাতকড়া লাগিয়ে রাস্তার পাশে অন্ধকারে নিয়ে বলে “তোর পকেটে ইয়াবা আছে”।
আমি চ্যালেঞ্জ করলে এ এস আই সাইফুলের সঙ্গে থাকা ২ জন কনেস্টবল আমাকে বেধড়ক মারধর করে, আমার পকেট তল্লাশি করে কিছু না পেয়ে একটু দুরে দাড়িয়ে থাকা এ এস আই সাইফুলের কাছে গিয়ে কথাবার্তা বলে পুনরায় আমার পকেট চেক করতে আসে। তখনও আমার হাত পুলিশের হাতকড়া লাগানো ছিল। এবার দুই কনেস্টবল আমার পকেট চেক করার কথা বলে পিছনের পকেটে ২টি ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে বলে, স্যার পেছনের পকেটে দুই পিস ইয়াবা পেয়েছি। আমি কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে এ এস আই সাইফুল ও তার দুই কনেস্টবল আমাকে বেধড়ক মার দিতে থাকে। মার দেওয়ার কারনে আমি চুপ করে থাকি।
ততক্ষনে আমাকে ঝিনাইদহ সদরের পবহাটি কলাহাটের পাশে অন্ধকারে নিয়ে বলে ২০ হাজার টাকা না দিলে তোর পায়ে গুলি করে হাসপাতালে নিয়ে জেল খানায় পাঠাব, বলে বড় একটা লাঠি দিয়ে আমাকে মারতে আসে ঐ সময় এ এস আই সাইফুল আমাকে বলে বিশ হাজার টাকা দিলেই তোকে ছেড়ে দেব। আর এ ব্যাপারে কাউকে বলা যাবেনা, জানাজানি হলেই আমি যা বলেছি তোর অবস্থা তাই করব। শুধু যে বিশ হাজার টাকা দিবে তার কাছেই মোবাইল কর, কথা শেষ করে মোবাইল বন্ধ করে রাখবি।
আমি টাকা দিতে অস্বিকার করলে আমাকে দুইটা পুটলা (প্যাকেট) ধরিয়ে দিয়ে বসায়ে এ এস আই সাইফুলের মোবাইলে আমার ৭/৮টি ছবি তুলে বলে, আমি এমন মামলা দিব যে তুই আর বিদেশ যেতে পারবি না। আমি ভয়ে ঘাবড়িয়ে গিয়ে বলি বাড়িতে আমার স্ত্রীর কাছে পনের হাজার টাকা আছে সেটা নিয়ে আমাকে ছেড়ে দিন।
এ এস আই সাইফুলের এক কথা বিশ হাজার টাকা দিবি নইলে যা যা বলেছি তাই করব। পরে আমি আমার স্ত্রী মলির কাছে ফোনে কথা বললে সে কাদাকাটি শুরু করে। মলির কাছে থাকা পনের হাজার ও আমার বড় ভাই এ খবর পেয়ে পাঁচ হাজার টাকা মলিকে দেয়। মোট বিশ হাজার টাকা হওয়ার পরে আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে ঝিনাইদহ বাইপাশ সড়কে আমার বাসার নিকটে এ এস আই সাইফুল তার কনেস্টবল আমাকে বাইক যোগে নিয়ে এসে, আমার স্ত্রী মলিকে মোবাইল করে বিশ হাজার টাকা আনতে বলে। এ এস আই সাইফুল তার কনেস্টবল দিয়ে আমার স্ত্রীর কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে বাইপাশ সড়কে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার এ এস আই সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে, তিনি অস্বিকার করে বলেন, আমি থানায় ডিউটি রুমে ডিউটিতে আছি। আপনি থানায় আসলে বিস্তারিত কথা হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.