ঝিনাইদহে যুবককে পিটিয়ে জখমের ঘটনায় নতুন সুরে সোহানের মা
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের সদর থানার এএসআই মামুন ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ার সোহান (২২) নামে এক ইজিবাইক চালককে বাশ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর যখম করেছে। এ ব্যাপারে পূনরায় তদন্তে সাংবাদিকরা সোহানের বাড়িতে গেলে এবার সুর পাল্টালেন সোহানের মা।
গ্রামবাসী সুত্রে জানাগেছে, ঝিনাইদহ চাকলাপাড়ার রুস্তমের ছেলে সোহান বর্তমানে ইজিবাইক চালক। চাকলাপাড়ার এলাকার মাদক ব্যাবসায়ী সোহাগের সাথে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠায় সোহানের মা সুমি বেগম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে সুমি বেগম তার ছেলে সোহানকে ভাল পথে আনার জন্য পূর্ব পরিচিত ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই মামুনের সাথে পরামর্শ করেন।
সোহানের মা সুমি বেগম জানান, এ এস আই মামুনের সাথে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক থাকার কারণে আমি মামুনকে আমার ছেলে খারাপ হওয়ার ব্যাপারে সমস্ত ঘটনা খুলে বলি এবং তার কাছে সাহায্য চাই। তাই মামুন আমার ছেলে কে ডাকে এবং বুঝাতে থাকে। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে সোহান এএসআই মামুনের কাছ থেকে পালাতে গেলে পাশে থাকা বাঁশের চটায় (চিরা বাঁশ) বেঁধে পড়ে যায় এতে সোহানের পা কেটে যায়।
সরেজমিনে সোহানের বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, সোহান এখন সুস্থ্য আছে, এএসআই মামুন কেন সোহাগকে এভাবে পিটালেন এ ব্যাপারে সোহানের মায়ের কাছে জানতে চাইলে সোহানের মা সুমি বেগম বলেন, আমার ছেলে আগে অনেক ভালো ছিল কিন্তু বর্তমানে সোহান জৈনিক সোহাগ সহ বেশ কিছু খারাপ ছেলেদের সাথে মিশে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমি শ্বাসন করতে গেলে আমার কথা সোহান মানতে চাইনা। ছেলের এহেন অবাধ্যত্বার কারণে মামুনকে দিয়ে শ্বাসন করার জন্য মুলত আমিই দায়ী।
এদিকে সোহানের শ্বাসনের জন্য পুলিশের কাছে লিখিত দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে সোহানের মা আরো বলেন, এএসআই মামুনকে সোহান মামা বলে ডাকে এবং মামুন আমাকে নিজের বোন বলে জানে তাই এ ব্যাপারে কোন লিখিত দেয়নি।
উল্লেখ্য, গত (২৮শে জানুয়ারী) ইং শনিবার “কোটচাঁদপুরের পর এবার ঝিনাইদহে এক যুবককে পিটিয়ে জখম করল পুলিশ” শিরোনামে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। পরবর্তিতে সোহানের বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নত্তরে সুমি বেগম বলেন, উক্ত সংবাদ আংশিক সত্য। এএসআই মামুন এঘটনার জন্য কোন প্রকার দায়ী নয়।
কার কথা ঠিক ?
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.