ঝিনাইদহের সেই দরিদ্র ছাত্র মিঠুন ভর্তির জন্য পনের হাজার টাকা পেলেন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
অভাব অনাটনের সংসার। দরিদ্র পিতা মুরালী মজুমদার কাঠ মিস্ত্রির কাজ করে কোন রকম সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তারই মধ্যে ছেলে মিঠুন মজুমদারকে লেখা-পড়া শিখিয়ে স্কুল-কলেজ পার করিয়েছেন। কিন্তু এখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিঞ¦ান বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পেেেয় মেধাবী ছাত্র মিঠুন মজুমদার ভর্তি হতে পারছিল না অর্থের অভাবে। ভর্তি হতে তার ১৫ হাজার টাকার প্রয়োজন ছিল। ভর্তির শেষ তারিখ ছিল ২৮ ডিসেম্বর।
দিনআনা-দিন খাওয়া দরিদ্র পিতা মুরালী মজুমদার হতাশ হয়ে পড়েন। ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে তাকে ভর্তি করতে পারঠিল না। মিঠুন মজুমদারকে নিয়ে বিভিন্ন প্র পত্রিকায়, নিউজপোর্টাল, অনলাইন টেলিভিশন, ফেসবুকে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
এ সংবাদ পড়ে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শিবুপদ বিশ্বাস উদ্যোগী হয়ে কালীগঞ্জের ব্যবসায়ী, সুধীবৃন্দ, সরকারি, বে-সরকারি চাকুরীজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার মানুষের কাছ থেকে ১১ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য উত্তোলন করে মিঠুনের হাতে তুলে দেন।
পরে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাদেকুর রহমান ওই ছাত্রকে নিজ অফিসে ডেকে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আরো ৩ হাজার টাকা প্রদান করেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাদেকুর রহমান জানান, টাকার জন্য কারো লেখাপড়া বন্ধ হতে পারেনা। তোমার লেখাপড়াও বন্ধ হবে না। যেকোন উপায়ে টাকা পয়সা সংগ্রহ হয়ে যাবে।
টাকা প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহিদুল করিম, সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শিবুপদ বিশ্বাসসহ অন্যান্যেরা। অবশেষে মেধাবি ছাত্র মিঠুনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আশা পূরণ হলো।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.