ঝিনাইদহের ফুলচাষীরা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও ২১শে ফেব্রুয়ারীতে কোটি টাকা লাভের আশায়

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

সামনে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আর ২১শে ফেব্রুয়ারতে কোটি টাকা লাভের আশা করছেন ঝিনাইদহের ফুলচাষীরা। এ জেলায় ফুল চাষে এবার নীরব বিপ্লব ঘটেছে। কৃষিকাজের পরিবর্তে ফুল চাষকে পেশা হিসেবে নিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন অনেক কৃষক। জেলার ছয় উপজেলার ৫ হাজার কৃষক এ ফুল চাষের সাথে জড়িত। এখানে উৎপাদিত গাঁদা, ফুলের ওপর নির্ভর করতে হয় শাহবাগের ফুল বাজারসহ দেশের ফুল ব্যবসায়ীদের। দিন দিন এখানকার ফুলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহ মোহা আকরামুল  হক জানান, ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় প্রায় ২৫০ শ’ হেক্টর জমিতে নানা জাতের ফুল চাষ হচ্ছে। সবচেয়ে বেশী ফুল চাষ হচ্ছে কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ফুল চাষ হয়েছে ১ শত হেক্টর জমিতে।

 

এছাড়াও শৈলকুপা, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও সদর উপজেলারও বিভিন্ন গ্রামের মাঠে গ্রামে ব্যাপকভাবে ফুল চাষ হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে ফুল চাষ করতে খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ভাল দাম পেলে লাভ হয়  প্রায় এক লাখ টাকা। এ জন্য ফুল চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের ফুল চাষ সম্পর্কে প্রশিক্ষন দিয়ে থাকি এবং এর ফলে সঠিকভাবে ফুল চাষ করে তারা লাভবান হচ্ছে।

 

রহিম মিয়া নামের এক ফুল চাষি বলেন, আগে যেখানে তিন বেলার ভাত যোগাতে সবাই ধান চাষ করত। সেখানে এখন তিন বেলা ভাতের পাশাপাশি বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য পেতে চাষীরা বেছে নিচ্ছেন ফুল চাষ। মাঠ থেকে ফুল তুলে মহিলারাও বাড়তি আয় করছে ঘরে বসে মালা গেথে। ফুলবাগানের মালিক রজব আলী বলেন বর্তমানে ফুলের দাম বেশ ভাল। সামনে ভালোবাসা দিবস আর ২১শে ফেব্রুয়ারিতে কোটি টাকা লাভের আশা করছেন তারা।

 

এদিকে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা জানান, জেলায় এবার ফুল চাষের ব্যাপক সম্বাবনা দেখা দিয়েছে। জেলার স্থানীয় ফুল বাজারগুলোতে প্রতিদিন বিপুল পরিমান ফুল বিক্রি হচ্ছে। যা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফুল বাজারের চাহিদা পুরণ করছে। অসময়ে ফুল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে কৃষকরা ফুল চাষের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বড় ধরণের ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.